অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলার মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ গ্রেপ্তার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৬ বার।

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনার মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন সৌরভসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মহানগরীর বেলপুকুর এবং সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এঘটনায় এনিয়ে মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও চন্দ্রিমা থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়।

আরএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজন অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এরা হলেন- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকোড় বাজারের বজলুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন সৌরভ (২৪), পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের রইচ শেখের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে শান্ত (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের শামিমুল ইসলামের ছেলে সালমান টনি (২২), রাজশাহী মহানগরের ভদ্রা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রায়হানুল ইসলাম ওরফে হাসিব (২১) এবং জেলার চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন (১৯)। এরা রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সৌরভ মামলার এক নম্বর আসামি। এছাড়া মুরাদ দুই, শান্ত তিন, টনি ছয় এবং হাসিব সাত নম্বর আসামি। সবাই ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মী। এদের মধ্যে সৌরভ পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলার ঘটনায় তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে গত ২ নভেম্বর সকালে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় তারা।

এঘটনায় ওই রাতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।