বগুড়ায় ৬ ক্যাটাগরিতে ৪৬ পুলিশ সদস্য পুরস্কৃত

সেই অজিত পেলেন বিশেষ সম্মাননা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:২৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩০৬ বার।

বগুড়ায় ছয় ক্যাটাগরিতে এবার অক্টোবর মাসের কর্ম সম্পাদনে ৪৬ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বুধবার সকালে পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে মাসিক কল্যাণ এবং অপরাধ সভায় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা তাদের পুরষ্কৃত করেন। এরমধ্যে ২২ জনকে ক্রেস্ট ২৪ জনকে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও দুইজন পুলিশ সদস্যকে বিদায়ী সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় বিধবা নারী মালেকা বেওয়ার খোয়া যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দেওয়া ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল অজিত কুমারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেয়া হয়। সভায়  উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সফিজুল ইসলাম ও আব্দুল জলিল,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ও গাজিউর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন ছাড়াও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ।

চৌকস কার্য সম্পাদন’, ‘শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী’, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী ‘ ‘সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিলকারী, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং বিশেষ পুরষ্কার,’ - এই ছয় ক্যাটাগরিতে সেরা পুলিশ সদস্যদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট , নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

বগুড়ায় পুলিশের মিডিয়া বিভাগের প্রধান এবং  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, ওই ছয় ক্যাটাগরিতে এএসআই, এসআই, সার্জেন্ট,ওসি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

 চৌকস কার্য সম্পাদনকারী ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছে বগুড়া শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান। শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমবার হোসেন,   শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে-  সদর থানার খোরশেদ আলম, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আনিছুর রহমান এবং শেরপুর থানার রুম্মান হাসান । শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়া সদর থানার  আব্দুস সালাম, সদর পুলিশ ফাঁড়ির আলমাস আলী, শিবগঞ্জ থানার মামুনুর রশিদ এবং জেলা বিশেষ শাখার মাসুদ রানা।

শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন  ডিবি শাখার এসআই সাইফুল ইসলাম।

শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী নির্বাচিত হয়েছেন উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল গফুর।

সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিলকারী  নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে টিআই আনোয়ার হোসেন এবং এটিএসআই আবুল কালাম আজাদ।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন কাহালু থানার এসআই আশিকুর রহমান এবং  ডিবির এসআই ফিরোজ সরকার।

বিশেষ পুরস্কার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন ছিলিম এসআই আজিজ মন্ডল, বয়স্ক, নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেস্ক কার্যক্রমে অবদান রাখায় পুরস্কার পেয়েছেন নারী এসআই অর্চনা রাণী বর্মা।

শ্রেষ্ঠ নারী হেল্প ডেস্ক কর্মকর্তার পুরস্কার পেয়েছেন এএসআই মোর্শেদা খাতুন, এছাড়াও এএসআই হিসেবে জেলা পুলিশের গোপনীয় শাখার রেজাউল ইসলাম রেজা, উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির মেহেদী হাসান ও এটিএসআই সোহেল রানা এবং সদর ট্রাফিকের কনস্টেবল অজিত কুমার মণ্ডল।

ওই সভায় পুলিশ বাহিনীর আরও ২৪ সদস্যকে অর্থ পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেনঃ এসআই যথাক্রমে  সদর থানার সোলায়মান আলী, শিবগঞ্জ থানার আলহাজ উদ্দিন ও আহসানুল হক, শেরপুর থানার রুম্মান হাসান ও পুতুল কুমার মোহন্ত, কাহালু থানার ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা এবং সারিয়াকান্দি থানার মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া এএসআই পদে অর্থ পুরস্কার লাভ করেন যথাক্রমে- সদর থানার আবু তাহের, আব্দুস সালাম, মাসুদ রানা, এনামুল হক, ইউনুছ আলী ও মেহেদী হাসান, শাহাজাহানপুর থানার ইয়াসিন আলী, সোনাতলা থানার নজরুল ইসলাম, গাবতলী মডেল থানার কাওসার জাহান, কাহালু থানার আতাউর রহমান ও জহুরুল ইসলাম, আদমদিঘী থানার আবু সায়েম, শিবগঞ্জ থানার মামুনুর রশিদ ও আশরাফুল ও

এটিএসআইদের মধ্যে সদর থানার যথাক্রমে তারিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান এবং সাজ্জাদ হোসেন।