রংপুর-কুড়িগ্রামে যান চলাচল স্বাভাবিক

বগুড়া থেকে নওগাঁ ও গাইবান্ধাসহ কয়েকটি রুটের বাস এখনও বন্ধ রয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৩৫ বার।

বগুড়ায় বাস চলাচল শুক্রবারও স্বাভাবিক হয়নি। এদিন রংপুর ও কুড়িগ্রাম রুটে বাস চলাচল শুরু হলেও নওগাঁ এবং গাইবান্ধার বাসগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। এর আগে নতুন সড়ক আইনের আংশিক পরিবর্তনের আশ্বাসে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সবগুলো রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় এখনও যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 
বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের হিসাব অনুযায়ী  আন্তঃজেলা ও আভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ৭০০ বাস চলাচল করে। তবে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব বাসের প্রায় ৯০ শতাংশেরই ফিটনেস নেই। এমনকি চালকদেরও লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। ফলে নতুন সড়ক আইন কার্যকর হলে জেল-জরিমানা গুণতে হবে -এমন শঙ্কায় বগুড়ার পরিবহন শ্রমিকরা গত ১৬ নভেম্বর প্রথম বগুড়া থেকে নওগাঁ, সান্তাহার, আবাদপুকুর, আক্কেলপুর, আবাদপুকুর ও মোলামগাড়ি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এছাড়া বগুড়া থেকে হিলি, জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা রুটে বাস চলাচল সীমিত করে ফেলেন। তবে অযথা হয়রানি করা হবে না- পুলিশের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস পাওয়ার পর পরদিন রোববার থেকে আবারও ওই ৬ রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবশ্য সরকারিভাবে ১৭ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক আইন কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হলে দু’দিন স্বাভাবিক রাখার পর ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে আবারও ওই ৬ রুটে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ২০ নভেম্বর থেকে সব রুটের বাস বন্ধ হয়ে যায়।
তবে বুধবার রাতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে তাদের উত্থাপিত ৯টি দাবির মধ্যে তিনটি মেনে নেওয়ার কথা জানা যায়। বৈঠক শেষে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রুস্তম আলী জানান, বৃহস্পতিবার সারাদেশে গাড়ি চলাচল করবে।
বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল অবশ্য দাবি করেছেন, নতুন  আইন সংশোধনের আশ্বাসে বগুড়ার চালক-শ্রমিকরাও যানবাহন চালাতে শুরু করেছে। তার মতে আগের অবস্থায় ফিরতে একটু সময় লাগবে।