নবজাতক মেয়েকে বিক্রি করে মোবাইল, স্বর্ণের চেইন কিনলেন বাবা!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৬৭ বার।

হাসপাতালে জন্ম হয়েছিল যমজ সন্তানের। একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। কিন্তু কন্যা সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি বাবা। এ কারণে তাকে বিক্রি করে নিজের জন্য মোবাইল ফোন আর যমজ ছেলেটির জন্য স্বর্ণের চেইন কিনেন ওই বাবা।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে। ৩৮ বছর বয়সী ওই বাবাকে কন্যা সন্তান বিক্রির অপরাধে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, জেলার বিক্রমাসিং পুরমের অরুগমপট্টি গ্রামে বসবাসরত ইয়েসুইরুদ্ধরাজ ও পুষ্পলতা দম্পতির আগেই দুই মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। গত ৮ নভেম্বর ওই দম্পতির যমজ সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু যমজের মধ্যে একজন মেয়ে হওয়ায় ইয়েসুইরুদ্ধরাজ অখুশী ছিলেন। তাই ছেলেকে রেখে তিনি নবজাতক মেয়েকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। 

বাড়ীতে ফিরে স্ত্রীর অজ্ঞাতে শিশুটিকে একদিন তিনি তিন দালালের কাছে বিক্রি করে দেন। এতে তিনি নিজে পান ১ লাখ টাকা। আর তিন দালাল পায় ৮০ হাজার টাকা। ইয়েসুইরুদ্ধরাজ কন্যাকে বিক্রির টাকা দিয়ে নিজের জন্য নতুন মোবাইল ও ছেলের জন্য স্বর্ণের চেইন কেনেন।

সেই সঙ্গে বন্ধক রাখা একটি বাইক এবং সাইকেলও ছাড়ান কন্যাকে বিক্রির ওই টাকা দিয়ে। 

গত সপ্তাহে ওই দম্পতি হাসপাতালে চেকআপের জন্য গেলে চিকিৎসকরা মেয়ে শিশুটিকে না দেখে এর কারণ জানতে চান। তখন শিশুটির মা পুষ্পলতা চিকিৎসকদের জানান তার স্বামীর কুকীর্তির কথা। এর পর সেখানেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ইয়েসুইরুদ্ধরাজ দাবি করেন, স্ত্রীকে জানিয়েই তিনি শিশুকন্যাকে বিক্রির করেছেন। অন্যদিকে পুষ্পলতা জানান, তাকে না জানিয়েই মেয়েকে বিক্রি করেছেন ইয়েসুইরুদ্ধরাজ। 

এদিকে শিশু বিক্রির বিষয়টি সামনে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ইয়েসুইরুদ্ধরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিশু বিক্রির সব তথ্য জানতে পারেন।  

পরে ইয়েসুইরুদ্ধরাজ এবং তিন দালালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করার পর ক্রেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। 

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, শিশুটির নিরাপত্তার জন্য আপাতত তাকে উদ্ধার করে একটি সংস্থার কাছে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র : দ্য নিউজ মিনিট