আবারও ভাঙ্গল জেএসডি, রব-মালেকের পাল্টাপাল্টি সম্মেলনের ডাক

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬১ বার।

আবারও ভাঙ্গল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্ব মানছেন না সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।

রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডির সম্মেলন আগামী ২৮ ডিসেম্বর। সে লক্ষ্যে দলটি ব্যাপক প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

এ দিকে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১১ জানুয়ারি জেএসডির কনভেনশনের তারিখ ঘোষণা করেছেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক রতন দাবি করেছেন, তার নেতৃত্বে দলের মূল ধারার সবাই রয়েছেন। আর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডির কোনো গঠনতন্ত্র নেই। সকালে তিনি একভাবে দল চালানতেন, বিকালে অন্যভাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের উদ্দেশ্য ছিল, শুধু নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য। কিন্তু সেটা নির্বাচন পরবর্তী সময়েও বহাল রয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, রাজনৈতিক সংকট চলছে; সে সব বিষয়ে দল কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। আ স ম রব যে নীতিতে বর্তমান দল পরিচালনা করছেন, সেটা জেএসডির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যপরিপন্থী। এ কারণে দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে; নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছে। এ সব সার্বিক দিন বিবেচনা করে আমরা জেএসডির মূল ধারার লোক আলাদাভাবে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্য, লুটপাট, বিদেশে টাকা পাচার, ঘুষ-দুর্নীতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। বর্তমান সরকারি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও সেই ভিত্তিতে রাজনীতি ও প্রশাসন গড়ে তোলার কোনো উদ্যোগ নেই।

আরও বলা হয়, বিএনপিসহ বিরোধী জোট সবকিছু ভুলে শুধু মুখে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলছে। এতে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনও তারা জোরদার করতে পারছে না, অন্যদিকে জনদুর্ভোগ লাঘবেও তেমন কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। এহেন পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর নানা দিক থেকে আঘাত আসলেও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে উঠছে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার ওপরই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সুষ্ঠু রাজনীতির বিকাশ নির্ভর করে। এ জন্যই আমরা অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ কাউন্সিল বর্জন করে ১১ জানুয়ারি কনভেনশন ঘোষণা করেছি।