গ্রামীণফোনকে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৭ বার।

গ্রামীণফোনের কাছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খবর সমকাল অনলাইন 

আগামী তিন মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে যদি এ টাকা না দেওয়া হয় তাহলে পাওনার ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলেও আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ক আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন। তবে এ সময়ের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য গ্রামীণফোন কোনো ফোরামে যেতে পারবে না বলে বলা হয়। 

তারও আগে গত ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ক আদেশের জন্য ১৮ নভেম্বর ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তি দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে দুই অপারেটরকে নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর বিটিআরসির দাবি করা টাকার অংক নিয়ে আপত্তি তোলে গ্রামীণফোন ও রবি। বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর আদালতের দ্বারস্থ হয়। 

পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও তাতে সফলতা আসেনি।

এরপর গ্রামীণফোনের টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) মামলা নিম্ন আদালত গ্রহণ করেন। কিন্তু এর অধীনে বিটিআরসির দাবি আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন গত ২৮ আগস্ট খারিজ করে দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণফোনের আপিল গ্রহণ করে গত ১৭ অক্টোবর বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে বিটিআরসি। বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান তাতে সাড়া না দিয়ে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

এরপর ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিটিআরসি। আপিলের শুনানি নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগ জানতে চেয়েছিল, বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির মধ্যে গ্রামীণফোন ন্যূনতম কত টাকা দিতে পারবে। সেদিন গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিলেন।