ভিপি নুরকে জড়িয়ে ধরে উচ্ছ্বসিত যুবলীগ নেতাকর্মীরা, ফেসবুকে ভাইরাল সেই দৃশ্য

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৮ বার।

রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীর দেখা হয় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের। এসময় নুরকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা। হাতে হাত মেলান, কুশলবিনিময় করেন। নুরকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। খবর যুগান্তর অনলাইন 

শনিবার যুবলীগের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে যোদদানের উদ্দেশে আসা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমনই সৌজন্যবোধ দেখালেন ডাকসুর ভিপি নূরুল হক নুরকে।

অথচ গেল এক বছরে ছাত্রলীগ কতৃর্ক আটবার হামলার শিকার হয়েছিলেন ভিপি নুর।

তাই যুবলীগের এমন আচরণে বেশ খুশি হয়েছেন সেই সময় ভিপি নুরের সঙ্গে থাকা ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার বিবৃতি দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান।

পাঠকদের উদ্দেশে তার সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

‘পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে যে, মহান আল্লাহতায়াল যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন, আবার যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। মহান আল্লাহতায়ালা যাকে সম্মানিত করেন পৃথিবীর সব মানুষ মিলেও তাকে অপমানিত করতে পারেন না।

নুরুল হক নুর ডাকসুর ভিপি হয়েও এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আটবার হামলার শিকার হয়েছেন, পুলিশের দ্বারা মামলার শিকার হয়েছেন; কিন্তু কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন নি তিনি।

আমরা যারা 'ছাত্র অধিকার পরিষদ’ কে ধারণ করি এবং তার সহযোদ্ধা আমরা প্রায় সবাই কম-বেশি পুলিশ এবং ছাত্রলীগের হামলা-মামলা, হয়রানির শিকার হয়েছি। তবে কখনও ভয় পেয়ে পিছপা হইনি, কিংবা ভীতু হয়ে পালিয়ে যাইনি। বরং আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে সম্মুখসমরে এগিয়ে গিয়েছি।

এভাবেই আজকে ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং ডাকসুর ভিপি নুরুলহক নুর বাংলার ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতা হয়ে ছাত্রলীগ করা ছেলেটিও যখন একান্ত ব্যক্তিগত আলোচনায় বলে যে, ভাই আমরা রাজনীতির স্বার্থে আর ক্ষমতার কারণে আদর্শটা ধরে রাখতে পারিনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তোমরাই দাঁড়াতে পেরেছ। কখনব অন্যায়ের সঙ্গে আপস করো না। লড়াইটা চালিয়ে যাও। বিরোধীতা করতে হয়, তাই তোমাদের বিরোধীতা করি। তবে আমরাও মনেপ্রাণে তোমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডকে সাপোর্ট করি। আমরা পথ হারিয়েছি,তবে তোমরা কোনোদিন পথ হারিও না।

সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে নিজেদের বিতর্কিত করেছে যুবলীগ নামক আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনটি। আজকে ছিল যুবলীগের সম্মেলন । সমগ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের ভীড়। ক্যাম্পাস থেকে শাহাবাগের দিকে আসছিলাম আমরা। হঠাৎ নুর ভাইকে দেখে যুবলীগের একদল লোক দৌড়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলল। মনে হলো তারা যুবলীগ নয়, বরং নুর ভাইয়ের লোক। আওয়ামী যুবলীগ করা লোকগুলোর মুখ থেকেই একের পর এক প্রশংসাসূচক বাক্য বের হতে থাকল নুর ভাই সম্পর্কে।নুর ভাইকে তারা বলতে লাগল,ভাই, এতকিছুর পরেও এতো নির্যাতন সহ্য করে আপনারা সত্য এবং ন্যায়ের লড়াই করে যাচ্ছেন। আপনারা আপনাদের আন্দোলন চালিয়ে যান, সমগ্র দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনার বক্তৃতা আমাদের খুব ভালো লাগে। আপনারা একদিন জয়ী হবেন ইত্যাদি ইত্যাদি নানান প্রশংসাসূচক বাক্য তাদের মুখে।পরে সবাই তার সঙ্গে ছবি এবং সেল্ফি তুলছিল।আমরা একটু দূরে দাঁড়িয়ে বিষয়টি দেখে খুবই আনন্দ পাচ্ছিলাম।আর আমিও দৃশ্যটি আমার ক্যামেরাবন্দী করি।

অথচ সারাদিন সরকার, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সমালোচনা করি আমরা। তবু সেই দল করা মানুষগুলো আমাদেরই ভালোবাসে। কারণ তারা জানে সত্য সুন্দর, সত্য একদিন প্রকাশিত হবেই। এটিই তো আমাদের আন্দোলন করার সার্থকতা!

সুতরাং একটা কথা বলতে চাই,সত্য এবং আদর্শের জায়গাটা ধরে রেখে লড়াইটা চালিয়ে যান। বিজয় একদিন হবেই। কারণ সত্য আর ন্যায়ের বিজয় তো অনিবার্য।’