ছাদ ধসে ৩৫ শিক্ষার্থী আহত, মাদ্রাসা ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৪০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯২ বার।

চাঁদপুরে একটি মাদ্রাসার এতিমখানা ভবনের বারান্দার ছাদ ধসে অন্তত ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ তিন তলা ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন ফরাজীকান্দি উয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আতাউল করিম মুজাহিদ। খবর দেশ রুপান্তর 

তিনি জানান, সেখানে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। আহতরা বর্তমানে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতাল, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মুজাহিদ জানান, মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি উয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসার এতিমখানার ছাত্ররা ১৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার রাতে শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করছিল। রাত ১০ টায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওজন সইতে না পেরে তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের দ্বিতীয় তলা বারান্দার ছাদ ধসে পড়ে।

এতে দ্বিতীয় তলায় থাকা শিক্ষার্থীরা নিচ তলায় পড়ে গুরুতর আহত হয়।

মাদ্রাসার ছাত্র ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে দমকল কর্মী, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. ইসমাইল হোসেন ও হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. আল হাসান বলেন, মাদ্রাসার এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় আমরা এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাস করছি। ভবনটি পুরাতন হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী শামুজ্জামান ডলার বলেন, খবর পেয়ে আমরা রাতেই এলাকাবাসী দুর্ঘটনার শিকার ছাত্রদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

তিনি জানান, ভবনটি পুরনো হওয়ায় এখানে নতুন করে ভবন তৈরি করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিরাপদে শিক্ষাদানে নতুন ভবন তৈরির জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাই।

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবন নির্মাণে কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছিল না। বসবাসের অনুপযোগী তিন তলা ভবনটিতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হবে।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার তিন তলা ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

আল আমিন এতিমখানার আবাসিক কর্মকর্তা শাহান শাহ সেলিম জানান, নতুন ভবন নির্মাণে সহযোগিতার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। কিন্তু তা না পাওয়ায় আমাদের এই ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।