নতুন সড়ক পরিবহন আইনে সাজা কমানোর প্রশ্নই আসে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৮ বার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়ে গেছে, সাজা কমানোর প্রশ্নই আসে না। আইনের সব কিছু প্রয়োগ হয়ে গেছে, শুধু দুই থেকে তিন জায়গায় আগামী জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। আইন স্থগিত করা হয়নি, কোনো কিছু স্থগিত করা হয়নি, সবই চলবে। খবর সমকাল অনলাইন 

রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিষয়ে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন ও ফিটনেস হালনাগাদে বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি আছে। এ কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। ট্যাক্স টোকেনের টাকা বকেয়া জরিমানা মওকুফ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। ট্যাক্স-টোকেনের বিষয়ে আবেদন জমা দিলে আশা করি জরিমানা এবারের মতো মাফ করা হবে।

তিনি বলেন, এর আগে সড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সরকারের নিকট ১১১ দফা সুপারিশ পেশ করে। সেই ১১১ দফা বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে। এই ফোর্সের কাজ পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য বন্ধ করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে প্রথম সভা করলাম। সভায় ১১১ সুপারিশ বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনার জন্য যোগাগাযোগ সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, তথ্য সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে চারটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের পরিকল্পনা ও সুপারিশ আমাদের জানাবেন। তারপর আবার আমাদের (টাস্কফোর্সের) বৈঠক হবে।

সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

শাজাহান খান বলেন, শ্রমিকরা আইন শিথিল চায় না, জরিমানা কমাতে চায়। মাসে সারাদেশে ৩-৪ হাজার দুর্ঘটনা ঘটে। চালকদের ধরে জেলে রাখলে গাড়ি চালাবে কে? এত চালক তৈরির সক্ষমতা তো আমাদের নেই।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চালকরা বলছেন নতুন আইনের জরিমানা দেওয়া সম্ভব না, আইনে মৃত্যুদণ্ডের কথা লেখা নেই। অপরাধ করলে কত বছর সাজা হবে এবং জরিমানা হতে পারে সর্বোচ্চ তা লেখা আছে। তা কমার কোনো প্রশ্ন আসে না, সর্বোচ্চ লিমিট বিচারক ব্যবস্থা নেবেন, আমরা সিলিং দিয়েছি সর্বোচ্চ, তিনি ইচ্ছা করলে কোন জায়গায় যেতে পারেন সেটা তার এখতিয়ার। জামিন অযোগ্যর বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এটি বৃহৎ আকারে আলোচনা হবে।