‘মাদক নির্মূলে বড় বাধা রোহিঙ্গা’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৫ বার।

দেশে মাদক নির্মূলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন (বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।

তিনি বলেন, মানবিক চিন্তা থেকে গত দুই বছরের বেশি সময়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর আগে থেকে এখানে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাস করে আসছিল। সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এখন মাদক নির্মূলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তারাই। প্রধান সড়কের দুই পাশে যেসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া দরকার। খবর সমকাল অনলাইন 

সোমবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উদ্যোগে আয়োজিত মাদকরোধে জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

সভা পরিচালনা করেন টেকনাফ-২ বিজিবির অপারেশন মেজর রুবায়াৎ কবির।  

ফয়সল হাসান খান বলেন, দেশ প্রেম না থাকলে, মরণ নেশা ইয়াবা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা দেশ ও যুব-সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু ইয়াবার কারণে একটা প্রজম্ম ধ্বংস হতে দিতে পারি না। সুতারাং মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, মাদক পাচারে শুধু রোহিঙ্গাদের উপর দায় চাপিয়ে দিলে হবে না। প্রকৃত পক্ষে রোহিঙ্গাদের কারা এসব কাজে প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের আইনের হাতে তুলে দিন। কক্সবাজারের টেকনাফের কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্প নাফ নদী ও পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ায় খুব সহজে সেখানে ইয়াবা চালান ঢুকে পড়ছে। ফলে নাফ নদীতে বিজিবির টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। নানা প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সীমান্তে বিজিবি নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আশা করছি সফলতা আসবে। 

সভায় বক্তারা বলেন, মাদক বন্ধে শুধু টেকনাফকে টার্গেট করলে হবে না। কেননা মাদক এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই মাদক নির্মূলে সরকারের পক্ষ থেকে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘সমন্বয় সেল’ গঠন করা অতি জরুরি।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী, কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এম সোহেল রানা, টেকনাফ ২৪ ও ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনর্চাজ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, টেকনাফ ২৬ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনর্চাজ মোহাম্মদ খালিদ হোসেন প্রমুখ।