বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা

১ ডিসেম্বর থেকে খুলনা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জ্বালানী তেল বিক্রি বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৩২ বার।


জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন এবং ট্যাংকলরী ভাড়া বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে পরদিন ১ ডিসেম্বর থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব ডিপো থেকে জ্বালানী  তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে। মঙ্গবাল দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত দাবিগুলো হলো- জ্বালানী তেল বিক্রির  প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা,  জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের ৫ লক্ষ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রনয়ন,  ট্যাংকলরীর ভাড়া  বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল,  ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামুলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরী চলাচলে পুলিশি হয়রানী বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানী বন্ধ, নতুন কোন পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশি¬ষ্ট বিভাগীয় জ্বালানী তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মানের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরী থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উল্লেখিত দাবির বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও শুধু মৌখিক আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় পেট্রোল পাম্প পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ খাতটি এরই মধ্যে অলাভজনক হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই তারা চুড়ান্ত কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একই ধরনের কর্মসূচীর কথা খুলনা এবং রংপুর বিভাগ থেকেও আলাদাভাবে ঘোষণা করা হবে। 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন  রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি এম এ মোমিন দুলাল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিিটর কোষাধ্যক্ষ এআর এম খোরশেদ আলম লিটন, আব্দুল করিম, জাহিদুর রহমান, এবিএম সিদ্দিক, উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন বাঘাবাড়ী ঘাট শাখার কার্যকরী সভাপতি আজিজুর রহমান গ্যাদা ও সাংগাঠনিক সম্পাদক আজমত মোল্লা।