মেয়ে হয়েছে ভেবে ছেলেকে ঝোপে ফেলে মারল মা!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৮ বার।

মা ভেবেছে এবারও মেয়ে হয়েছে। সেই ভাবনায় সদ্যজাতকে রাতের অন্ধকারে ঝোপের ভেতর রেখে যান তিনি। রাতের বেলায় সেখানেই মৃত্যু হয়েছে পৃথিবীর আলো-বাতাসে নিশ্বাস নিতে আসা এক নতুন প্রাণের!

নির্মম আর অমানবিক এই ঘটনাটি ভারতের পান্ডুয়া থানার সিমলাগড়ের চাপাহাটি বকুলতলা গ্রামের। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধারের পর সদ্যোজাত ওই সন্তানের মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, যে জায়গায় এই সদ্যোজাতর মৃতদেহ স্থানীয়রা দেখেন সেই জায়গাতেই আজ থেকে ১৪ মাস আগে আরও একটি সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল।

তাই সোমবার দুপুরে পান্ডুয়া থানার পুলিশ যখন সদ্যোজাতর মৃতদেহ উদ্ধার করতে যায় তখন এলাকার মানুষ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। তারা দাবি করে, ১৪ মাস আগের ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি।

এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার রাতেই সিমলাগড়ের চাপাহাটি বকুলতলা থেকে অর্চনা মণ্ডল নামের ওই গৃহবধূকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। জেরায় ওই গৃহবধূ কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন।

পুলিশি জেরায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। গৃহবধূ এটাও স্বীকার করে আজ থেকে ১৪ মাস আগে ওই জায়গা থেকে যে সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই শিশুকন্যাটিও তার ছিল!

গৃহবধূর স্বামী শিবু মণ্ডল ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

নিজের কৃতকর্মের জন্য এখন নিজেরই কপাল চাপড়াচ্ছেন অর্চনা। কাঁদতে কাঁদতে জানান, তার সংসারে আরও তিন কন্যাসন্তান আছে। একজন প্রথম শ্রেণি, একজন সপ্তম শ্রেণি ও বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে।