ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দাকাণ্ড: ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৫ বার।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতীত উচ্চমূল্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাত চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খবর যুগান্তর অনলাইন 

বুধবার সকালে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

এ মামলায় ঠিকাদার ও চিকিৎসকসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন- ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দন্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গণপতি বিশ্বাস, সাবেক প্যাথলজিস্ট এ এইচ এম নুরুল ইসলাম, গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট মিনাক্ষী চাকমা, আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মুন্সী ফররুখ হোসাইন, অনিক ট্রেডার্সের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকার জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন।

হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ওমর ফারুক মারা যাওয়ায় তাঁকে আসামি করা হয়নি

এই ছয়জনের নামে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ৪০৯ , ৫১১, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)–এর ধারায় মামলা হয়েছে।

ফরিদপুর দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউয়ের রোগীকে আড়াল করে রাখার এক সেট (১৬ পিস) পর্দা কেনা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমন খবর দৈনিক যুগান্তরসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশের পরে দুর্নীতির বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।