নন্দীগ্রামের মেধাবী রিতার ঢাবি ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৪ বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া কামারের মেধাবী মেয়ে রিতা মহন্ত’র ভর্তির দায়িত্ব নিলেন নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার। রিতা মহন্ত উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দামুয়া পাড়া গ্রামের রতন কামারের মেয়ে। 

জানা গেছে, উপজেলার দামুয়া পাড়ার রতন মহন্তের মেয়ে রিতা মহন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও অর্থ অভাবে ভর্তি হতে পারছিল না। মেয়ের ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছিল কামার রতন। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে দরিদ্র রতনের সংসার। অতিকষ্টে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে রিতা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” প্রোগ্রামের জন্য জয়িতা খুঁজেতে গিয়ে খুঁজে পেলাম রিতা মহন্ত কে। জানতে পারলাম অভাবের সাথে যুদ্ধ করে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় রিতা। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য সে চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ৯৩২ তম হিসেবে স্থান পায়। কিন্তু অভাবের কারণে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে কে জানালে সে রিতার পরিবারকে ডেকে পাঠান। এরপর তিনি রিতার সাথে কথা বলে তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। 

রিতা মহন্ত ইউএনও মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার ভর্তির বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য ইউএনও শারমিন আখতার স্যার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি স্যারে মঙ্গল কামনা করি। তিনি আরও জানান, আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সেই সাথে সবার দোয়া ও অর্শিবাদ কামনা করি। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, বিষয়টি জানার পর রিতার পরিবারের সাথে কথা বলি। এরপর তার সার্বিক খোঁজ খবর নিয়েছি। আমি তার ভর্তির সংক্রান্ত ব্যাপারে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবো। তিনি আরও জানান, রিতা যেন ভবিষ্যতে আরও ভাল লেখাপড়া করে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনে এই কামনা করি।