বগুড়ার নন্দীগ্রামের মামুন ছিলো হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনা সহযোগী

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৩ বার।

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ মামলার রায়ে ৭জন আসামির মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এই ৭ জনের ১ জন মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন। মামলার রায়ে মামুনকে হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনাকারীর সহযোগী হিসাবে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত তার মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়। 

এলাকায় তাকে সবাই মামুন নামে চিনলেও সংগঠনে সে পরিচিত ছিলো রিপন নামে। মামুন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের শেখের মাড়িয়া গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে। 

জানা গেছে, সে স্থানীয় আঁচলতা মাদ্রাসা থেকে পঞ্চম শ্রেনী পাশ করে। এরপর সে ২০০৯ইং সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ দারুস হাদীস মাদ্রাসা থেকে দাওড়া পাশ করে। পরে বগুড়ার সাইবার টেক নামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চাকুরী করতেন। মামুন চাকুরিরত অবস্থায় জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গোবরগাড়ী গ্রামে বিয়ে করেন। তারপর থেকে সে বাড়িতে বেশি আসতো না।

হলি আর্টিজান হামলার পরে ২০১৯ইং সালের ২০ জানুয়ারি গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২৭ নভেম্বর) হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে তার মৃত্যুদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে।

এ রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, শুনেছি মামুনুর রশিদের বাড়ী ভাটরা ইউনিয়নের শেখের মাড়িয়া গ্রামে। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতাম না। তার বাড়ী যেখানে হোক সে জঙ্গি হোক আর জেএমবি হোক যেকোন ধরনের অপরাধীর শাস্তি আমরা চাই।