নন্দীগ্রামে শীতের আগমনী হাওয়ায় কদর বড়ছে ভাপা পিঠার

অদ্বৈত কুমার আকাশ
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬১ বার।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় শীতের আগমনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শীতের আমেজের সাথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমান ভাপা পিঠার দোকান। এ সকল দোকান গুলোতে সকাল-সন্ধ্যায় পাওয়া যাচ্ছে শীত মৌসুমের গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় এই ভাপা পিঠা। 

আগে শীতের সময় গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে গৃহিনীরা হরেক রকম সুস্বাদু পিঠা-পুলি তৈরি করতো। বর্তমানে এমনটি আর দেখা যায় না। বাঙ্গালির সেই ঐতিহ্যবাহী পিঠা এখন ঘর ছেড়ে সড়কের পার্শ্বে ও রাস্তার মোড়ের ভ্রাম্যমান দোকানে শোভা পাচ্ছে। 

শীতের আগমনী হাওয়া বইছে তাই বসে নেই নন্দীগ্রামের মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা। তারাও সকল প্রস্তুতি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শীতকালীন এসব পিঠার দোকান বিকেল থেকে বসতে শুরু করে। সন্ধ্যা নামার সথে সাথে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। আবার ভোরের কুয়াশা কাটতে না কাটতেই শুরু হয় গরম ভাপা পিঠা তৈরি কাজ। প্রতিদিন অনেক লোক এ দোকানগুলোতে পিঠা খেতে আসেন। এদের মধ্যে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, কর্মজীবি ও চাকুরীজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে।

 সকালে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দেখা যায়, পিঠা বিক্রেতা জান্ডু মিয়া রাস্তার পাশে একটি চুলায় পানি ফুটিয়ে সেই ভাপে নতুন খেজুরের গুড়, নারিকেল ও নতুন ধানের চাউলের আটা দিয়ে তৈরি করছে জনপ্রিয় এই ভাপা পিঠা। তার তৈরি পিঠা খেতে ভ্রাম্যমান দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেছে পিঠা প্রিয় মানুষেরা।

জান্ডু মিয়া জানান, এখনও শীত তেমন পরেনি তাই পিঠা বিক্রি কম হচ্ছে। শীত বাড়লে আমার পিঠা বিক্রিও বাড়বে। তার দৈনিক সকাল-সন্ধ্যা ৬০০-৭০০ টাকা পিঠা বিক্রি করে লাভ হয়। 

পিঠা খেতে আসা বেলাল হোসেন ও সুখিল চন্দ্র বলেন, শীতের সকালে ভাপা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। বাড়িতে পিঠা তৈরির অনেক ঝামেলা তাই শীতের সময় প্রায় দৈনিক সকাল-সন্ধ্যা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দোকানে পিঠা খেতে আসি।