রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট স্থগিত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯১ বার।

রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে৷

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একাংশের সভাপতি সাজ্জাদ কবির কাবুল ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের বৈঠক হবে। বৈঠক থেকে ১৫ দফা দাবির বিষয়ে যদি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে তারা পরবর্তী কর্মসূচি দেবেন। খবর সমকাল অনলাইন।

তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের ডাকে রোববার সকাল ৬টা থেকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট শুরু হয়৷ ধর্মঘটের কারণে এই তিন বিভাগের ২৬ জেলায় পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ থাকে।

১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ কমিশন দেওয়া; জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট, নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা; প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের জন্য ৫ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা; ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণের নিয়ম বাতিল; পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম বাতিল; পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট করা; জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল করা; সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা নেওয়ার নিয়ম বাতিল; ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম বাতিল; আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের নিয়ম বাতিল; ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ; সুনির্দিষ্ট দপ্তর ছাড়া ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ; নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু; পেট্রোল পাম্পের পাশে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।