ভুটানের কাছে হার জামাল ভূঁইয়াদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৯ বার।

নেপালে ডিসেম্বর মানেই প্রচণ্ড শীত, পাহাড়ের গা ঘেঁষা আঁকাবাঁকা পথেও যেন ঠান্ডা লেগে থাকে। ওই পাহাড়ের মধ্যেই হালচকের আর্মড পুলিশ ফোর্স স্টেডিয়াম। এই মাঠে ২০১৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে শেষ সময়ে সুনীল ছেত্রির গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। বিদায় নিয়েছিল গ্রুপপর্ব থেকেই। আবার এই নেপালে ১৯৯৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসের ফুটবলে প্রথম স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও সেই স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন জামাল ভূঁ‌ইয়ারা। ভারত না থাকায় সম্ভাবনাও ছিল প্রবল। কিন্তু এসএ গেমস ফুটবলে সোমবার প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিপক্ষ ভুটানের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স এবং ফুটবল ডিসিপ্লিনে ভারত না থাকা; সবকিছু মিলিয়ে এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাংলাদেশের বড় বাধার নাম নেপাল। তিন বছর আগের গেমসে ভারতকে হারিয়ে নেপাল জিতেছিল স্বর্ণ। কিন্তু অতদূর না ভেবে ভুটান ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ।

২০১৬ সালের অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরাজয় বাদ দিলে ফুটবলের যে কোনো পর্যায়ে ভুটানের কাছে কখনোই হারেনি লাল-সবুজের দলটি। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত তিনটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচেও ভুটানকে হারিয়েছিলেন জামালরা। সেটি ছিল জাতীয় দল; এটি অবশ্য অনূর্ধ্ব-২৩। তারপরও বর্তমান বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই আছেন এখানে। অথচ দূর্বল ভুটানেই পা হড়কালো বাংলাদেশ। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে চেনসো গিল্টসেন গোল করে স্তব্ধ করে দেয় বাংলাদেশ দলকে।

নেপালের প্রচণ্ড ঠান্ডা আর উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অবশ্য বেগ পেতে হয়েছে ফুটবলারদের। তবে এটা ভুটানের কাছে হারের কোন অজুহাত নিশ্চয় নয়। কারণ এই নেপালে বাংলাদেশের ফুটবলের অনেক জয়ের গর্ব মিশে আছে। সেটা শোনার পর ভালো খেলার সেই ধারা ধরে রাখার চাপ অনুভব করছেন বলেও জানান কোচ জেমি ডে। কিন্তু হলো তার উল্টোটা।