আগুনমুখায় ডুবো চর, ঝুঁকিতে নৌ-চলাচল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০১ বার।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী নদী বেষ্টিত একটি উপজেলা। এ উপজেলার মানুষের চলাচলে নদী পথই একমাত্র ভরসা। পার্শ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপা ও কলাপাড়া পর্যন্ত সড়ক পথে আসা গেলেও এই উপজেলায় পৌঁছানোর জন্য পাড়ি দিতে হয় ভয়াল আগুনমুখা নদী। বলতে গেলে তিন উপজেলার মাঝখানেই আগুনমুখা নদীর অবস্থান। এই নদী পাড়ি দিয়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করে রাঙ্গাবালীর মানুষ। আর চলাচলের একমাত্র ভরসা লঞ্চ অথবা ট্রলার। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে নদী পাড়ি দিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডুবোচর। ডুবোচরের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যাতায়াত অসুবিধায় ভুগছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে রোগী নিয়ে স্বজনরা। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন 

রাঙ্গাবালীর প্রবীণ লোকদের কাছ থেকে জানা গেছে, একসময় প্রায় ১২ কি. মি. চওড়া ৭ নদীর মিলন স্থান আগুনমুখা পাড়ি দিতে মানত করতে হতো। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে এ নদীতে কোণ নৌযান চলাচল করত না। বড় বড় ঢেউয়ের কারণে এপার থেকে ওপার দেখা যেত না। ভয়াল সেই আগুনমুখার কথা মনে পড়লে আজও শিউরে উঠতে হয়। এক সময়ের ভয়াল সেই নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের কারণে নদীটি তার স্বকীয়তা হারিয়েছে অনেক আগেই। জেগে ওঠা চর বন বিভাগের আওতায় বনাঞ্চলে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ জেলা সদর পটুয়াখালীর সঙ্গে রাঙ্গাবালীর যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যম মাত্র দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। ঢাকা থেকে একটি দোতলা লঞ্চ সন্ধ্যা ৭ টায় ছেড়ে পরের দিন বিকেল ৫ টায় পৌঁছে রাঙ্গাবালী। অপর দিকে জেলা সদর পটুয়াখালী থেকে একটি একতলা লঞ্চ সকাল ৭ টায় ছেড়ে বিকেল ৫ টা নাগাদ রাঙ্গাবালী পৌঁছে।

ডুবো চরের কারণে লঞ্চ চলাচল প্রায়ই ব্যাহত হয়। প্রায়ই লঞ্চ আটকে যায় চরে। ফলে ভোগান্তিতে পরে যাত্রীরা। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের কাঁচামাল চরে আটকা পড়া লঞ্চেই নষ্ট হয়ে যায়। রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় অফিশিয়াল কাজে যেতে হয় গলাচিপা ও জেলা সদর পটুয়াখালীতে। ডুবো চরে আটকা পড়লে দুর্ভোগের আর সীমা থাকে না। আবার ডুবো চরের কারণেই মাঝে মধ্যে উত্তাল হয়ে ভয়াল রূপ ধারণ করে এই আগুনমুখা নদী।

নদী পাড়ের মজিবুর রহমান বলেন, লঞ্চ চলাচলের এই পথে অসংখ্য ডুবো চর রয়েছে। ভাটির সময় কোন কোন চর জেগে ওঠে। জোয়ারে তলিয়ে যায়। আর এই চরেই আটকা পড়ে লঞ্চ। এছাড়া চরে জোয়ারের পানি বাঁধাগ্রস্ত হয়ে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।

ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে লঞ্চ চলাচল শতভাগ নিরাপদ করার দাবি এ এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের।