ছেলেকে নিয়ে বিপাকে ব্রিটিশ রানি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৩ বার।

সামরিক জোট ন্যাটোর সহযোগিতা ও যৌথ চেতনার ৭০তম বার্ষিকীতে জড়ো হওয়া বিশ্ব নেতাদের যখন ব্রিটিশ রানি স্বাগত জানাচ্ছিলেন, তখন বাকিংহাম প্রাসাদের অভ্যর্থনার বিপরীতে রাজনৈতিক মাতনৈক্য ও বিক্ষোভ চলছিল।

বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটোবিরোধী শত শত বিক্ষোভকারী লন্ডনের রাস্তা অবরোধ করে ক্ষোভ দেখিয়েছেন। ভেতরে অতিথির তালিকায় অনুপস্থিত ছিলেন ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রু। বলা যায়, নিজের এই সন্তানকে নিয়ে বিপাকেই আছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

ভার্জিনিয়া জুফরের অভিযোগের সমাধানে বিবিসি নিউজনাইটকে দেয়া সাক্ষাতকারের পর জনজীবন থেকে দূরে সরে গিয়েছেন অ্যান্ড্রু। তবে অনেকটা সরাসরি ও পরিষ্কারভাবে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

ব্রিটিশ নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাবেক এই পাইলট তার ৫৫তম জন্মদিনে ভাইস-অ্যাডমিরারল পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ন্যাটোর জমায়েতে স্বাভাবিকভাবেই তার থাকার কথা। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এমনটা ঘটবে বলেও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে চা পানের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এসেছেন। সকালে যান-বাহনের ভিড়ভাট্টায় ট্রাম্প ও ফাস্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও নির্দিষ্ট সময়ের ৪০ মিনিট পরে চার্লস ও ক্যামিলার সঙ্গে চা পানে ক্লারেন্স হাউসে আসেন।

কিন্তু জেফরি এপস্টিনকে ঘিরে কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকে এক বিরল ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প। তার মার-আ-লাগো রিসোর্টে একজন অতিথি ছিলেন এই এপস্টিন।

সকালের নাস্তার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে চিনি না। কিন্তু এটা এক কঠিন কাহিনি। সত্যিই এটি কঠিনতম কাহিনি।

ন্যাটো দেশগুলোর ২৯ নেতার সঙ্গে গ্রুপ ছবিতে অংশ নিয়েছেন রানি। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেও ছবিতে দেখা গেছে।

অনুপস্থিতদের মধ্যে প্রিন্স উইলিয়াম ও তার ছোট ভাই হ্যারিও রয়েছেন। কুয়েত ও ওমানে সরকারি সফরে গিয়েছেন উইলিয়াম। আর রাজকীয় কার্যক্রম থেকে ছয় সপ্তাহের ছুটিতে রয়েছেন হ্যার ও তার স্ত্রী মেগান।

যৌন অপরাধে অভিযুক্ত জেফরি এসস্টিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা মার্কিন নারী ভার্জিনিয়া জুফরে বলেন, ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তাকে বাধ্য করা হয়েছিল।

বিবিসি প্যানোরামাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, তার বয়স যখন ১৭ বছর, এপস্টিন তখন তাকে পাচার করে নিয়ে যান। এরপর তাকে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন তিনি। যাদের মধ্যে ডিউক অব ইয়র্কও ছিলেন।