পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

শ্রীলংকার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। শুক্রবার তিনি এ সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেন। আদেশে বলা হয়, শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ কার্যকর হবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসবে ১৭ জানুয়ারি।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জেতার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিরিসেনা।

২৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা আকস্মিক সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে দায়িত্ব দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে। ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। কিন্তু এক বিবৃতিতে রাজাপাকসের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানান স্পিকার।

স্পিকার বলেন, পার্লামেন্টের বেশিরভাগ সদস্যের মত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন অসাংবিধানিক ও প্রথাবিরোধী। তাই আমাকে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এই ঘটনায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন গোষ্ঠী নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগ পর্যন্ত আমাকে কোনও পক্ষাবলম্বন না করার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

রনিল বিক্রমাসিংহের দলের একজন সংসদ সদস্য অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার নিয়োগ দেওয়া প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের প্রতি সমর্থন নিশ্চিতে তাকে ৫০ কোটি শ্রীলঙ্কান রুপি ঘুষ সাধা হয়েছে। তবে এমন নানামুখী তৎপরতার পরও শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

২০০৫-২০১৫ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাজাপাকসে। কিন্তু ২০১৫ সালে একই দলের প্রার্থী রাজাপাকসেকে হারিয়ে সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট হন। পরে ২০১৫ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর গঠিত হয় জোট সরকার, সিরিসেনা যার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন বিক্রমাসিংহেকে। কিন্তু তারপর থেকে তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠতে থাকে, যার প্রেক্ষিতে সিরিসেনা তাকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে শেষ পর্যন্ত সে চেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। সূত্র: আল জাজিরা,বিবিসি।