সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ

বগুড়ায় পল্লী  বিদ্যুতের ডিজিএমসহ ৮ কর্মচারির বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৬০ বার।

বগুড়ায় তথ্য নিতে যাওয়া সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগে পল্লী বিদ্যুত সমিতির দুই কর্মকর্তাসহ৮ কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দেওয়া হয়েছে। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের বুলবুল আহম্মেদের ছেলে মোহনা টেলিভিশনের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি আতিক রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। 
মামলায় যাদের যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন- বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোকামতলা জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ্ রেজ্জাকুর রহমান, সহকারি মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) গোলাম রব্বানী এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ কর্মচারী। বিচারক মোছাম্মাৎ আসমা মাহমুদা মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়াকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়েছে বাদী মোহনা টেলিভিশনে বগুড়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোকামতলা জোনাল অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি সংক্রান্ত খবর গত ২৬ অক্টোবর প্রচার হওয়ার পর আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে তাকে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কমকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া লাইসেন্স তৈরির মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তিকে নিয়মবহির্ভূতভাবে অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমতি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগর বিষয়ে বক্তব্য নিতে তিনিসহ আরও ৩জন সাংবাদিক গত ২ ডিসেম্বর দুপুর ২টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোকামতলা কার্যালয়ে যান। কিন্তু ডিজিএম শাহ্ রেজ্জাকুর রহমান তাদেরকে দেখেই গালিগালাজ শুরু করেন। এর প্রতিবাদ করলে আসামীরা স্টোর রুম থেকে লোহার রড নিয়ে এসে বাদীসহ তার সঙ্গে থাকা অন্য সাংবাদিকদেরও মারপিট করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ভিডিও ক্যামেরাও ভাংচুর করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন। মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখ আগামী ২৩ ডিসেম্বর। তবে যোগাযোগ করা হলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মোকামতলা জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহ্ রেজ্জাকুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘যিনি মামলা করেছেন সেই আতিক রহমান সেচের জন্য অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। ওই আবেদনগুলো গ্রহণ এবং সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য তিনি চাপ দিচ্ছিলেন। সেটি না শোনায় তিনি মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।’