বুয়েটে আরও ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫১ বার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তিতুমীর হলের আট শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর একজনকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তৃতীয় দফায় বহিষ্কার করল বুয়েট প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক এবং বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর যুগান্তর অনলাইন 

তিতুমীর হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- মো. তানভীর হাসনাইন, মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুস্তাসিন মঈন, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ খান, মহিবুল্লাহ হক মুগ্ধ ও আনফালুর রহমান।

বিভিন্ন মেয়াদে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও ভবিষ্যতের জন্য যেসব শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন- মো. জাহিদুল ইসলাম, জিহাদুর রহমান, মো. এহসানুল সাদ, আবিদ-উল কামাল, মোহাম্মদ সায়াদ ও মাহমাদুল হাসান রবিন।

এ ছাড়া র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তিতুমীর হলের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল ইসলামকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এরপর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ২১ নভেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

২৭ নভেম্বর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী হলের ৯ জনকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।