আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে জাতি হতাশ-বিক্ষুব্ধ: বিএনপি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৪ বার।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বুধবার রাতেই মেডিকেল প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে। এরপরও সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে তার জামিনকে বাধা দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াকে প্রচলিত রীতি মেনে জামিন না দিয়ে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। খবর সমকাল অনলাইন 

তিনি বলেন, 'আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্তে আজকে সমস্ত জাতি শুধু হতাশই হয়নি, বিক্ষুব্ধ হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন-বিক্ষুব্ধ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতিতে গোটা জাতি আজকে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তার মুক্তিটা অবশ্যই প্রয়োজন।'

চিকিৎসার অভাবে দলের চেয়ারপারসনের প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা না হওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতির সব দায়-দায়িত্ব সরকার ও সরকারপ্রধানকে নিতে হবে।

গত ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউয়ের চার চিকিৎসকের বোর্ডের প্রতিবেদনে তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। প্রতিদিন অতি দ্রুত পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন; প্রায় পঙ্গু হয়েই পড়েছেন। কারো সাহায্য ছাড়া একেবারে চলতে পারেন না, বিছানা থেকেও উঠতে পারেন না। স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতির পরেও সরকার তার জামিনে বাধা দিচ্ছে।

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি আদালতের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। বিচার চলাকালীন মামলায় নগ্ন হস্তক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার চান না খালেদা জিয়া জামিন হোক।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে 'সন্ত্রাসের গডমাদার' আর কারাগারের 'রাজার হালে' আছেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে ভয় দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন না করার ব্যর্থতায় আদালত অবমাননা করেছেন।

অন্যদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করা হয়েছে, অপরদিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য। তার এই বক্তব্য ও এই ঘটনা আদালতের ওপর হুমকি বলে মনে করি। তারা সবাইকে ভয় দেখাতে চায়।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আগামী শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপরও খালেদা জিয়ার জামিন না হলে কী করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জামিন না দিলে স্থায়ী কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।