বগুড়ার নন্দীগ্রামে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে আতঙ্কিত কৃষক

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৭ বার।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে আতঙ্কিত কৃষকরা। এই উপজেলায় মাসখানেক আগে থেকে গবাদিপশু বিশেষ করে গরুর মধ্যে নতুন একধরনের ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা কমেনি। তাই এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে এই ভাইরাসজনিত রোগটি নতুন। এই ভাইরাসটি লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নামে পরিচিত। এ রোগের প্রতিষেধক না থাকায় রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

এ রোগে আক্রান্ত উপজেলার বেশ কয়েকজন গরুর মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ল্যাম্পি স্কিন আক্রান্ত গরুর প্রথমে পা ফুলে যায়। পরে গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গুটি হয়ে ওঠে। এ সময় গরুর শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা দেয় এবং গরু খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। এতে আক্রান্ত গরুগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দু-তিন দিনের মধ্যে গুটিগুলো ফেটে কষ ঝরে। একপর্যায়ে ক্ষতগুলো পচে গরুর শরীর থেকে মাংস খসে পড়ে ও দুর্গন্ধ ছড়ায়।

কথা হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে চিকিৎসার জন্য গরু নিয়ে আসা বুড়ইল ইউনিয়নের বিরপলি গ্রামের কৃষক জিন্নাত আলীর সাথে সে জানায়, তার পাঁচটি গরুর মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে দুইটি গরু। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গুটি হয়ে গিয়েছিল। এখন গুটিগুলো ফেটে কষ ঝড়ছে ও শরীর থেকে মাংস খসে পড়ছে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অরুনাংশু মন্ডল অরুন জানান, বিভিন্ন এলাকায় ল্যাম্পি স্কিন নামে নতুন ভাইরাসজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস নিয়ে কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কৃষকদের গোয়ালঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং আক্রান্ত গরুকে মশারির মধ্যে রাখতে হবে। তাতে মশা-মাছির দ্বারা অন্য গরু এ রোগে আক্রান্ত হবে না। এ রোগে আক্রান্ত গরু কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।