আফগানিস্তানে গুলিতে জাপানি সাহায্য সংস্থার প্রধানসহ নিহত ৬

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২০ বার।

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে দেশটিতে কর্মরত জাপানের সাহায্য সংস্থার প্রধানসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। বুধবার শহরের পথে তাদের বহনকারী গাড়িটিকে লক্ষ্য করে বন্দুকধারী গুলি ছুড়লে এ নিহতের ঘটনা ঘটে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিহত ওই জাপানি সংস্থার প্রধানের নাম ডা. তিশতু নাকামুরা। তিনি পিস জাপান মেডিকেল সার্ভিসের প্রধান হিসেবে আফগানিস্তানে কাজ করছিলেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশটির উত্তরাঞ্চলে মানবিক সহায়তামূলক এসব কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ সম্প্রতি ডা. নাকামুরো আফগানিস্তানের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পান। 

আলজাজিরা জানায়, বুধবার ডা. তিশতু নাকামুরাকে হত্যার উদ্দেশে তার গাড়ি বরাবর গুলি ছুড়ে বন্দুকধারী। এতে ডা. তিশতুসহ তার সঙ্গে থাকা চার আরোহী ও গাড়িচালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হামলার পরপরই বন্দুকধারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, জাপানের সাহায্য সংস্থার প্রধানের গাড়িতে হামলার সঙ্গে তালেবান গোষ্ঠীর কেউ জড়িত ছিল না।

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানিদের সাহায্য করার কারণেই সন্ত্রাসীদের হাতে নাকামুরাকে প্রাণ দিতে হলো বলে মন্তব্য করেছেন নানগারহার প্রদেশের সরকারি পর্ষদের সদস্য সোহরাব কাদরি।

রয়টার্সকে সোহরাব কাদরি বলেন, ‘আফগানিস্তানকে পুনর্গঠনে অসামান্য কাজ করে গেছেন ডা. নাকামুরা। বিশেষ করে সেচ ও কৃষিখাতের জন্য।’

এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডা. তিশতু নাকামুরার নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

প্রেসিডেন্ট ঘানির মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকী বলেছেন, ‘ডা. নাকামুরা তার জীবন আফগানিস্তানের মানুষের পরিবর্তনের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন। আফগান সরকার দেশের মহৎ এক বন্ধুর ওপর জঘন্য এবং কাপুরুষোচিত এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, বুধবারের ওউ বন্দুক হামলার আগে গত সপ্তাহে রাজধানী কাবুলে জাতিসংঘের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।

এই দুই হামলা ঘটনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে দাতব্য ও সাহায্য সংস্থাগুলোর মানবাধিকারমূলক কাজ করার ক্ষেত্রে শঙ্কা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।