তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বগুড়ায় আ'লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৯৬ বার।

বগুড়ায় আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও সম্মেলনকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান।

কাউন্সিলর এবং ডেলিগেট মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন। সম্মেলনে যেন কোনো রকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় এজন্য পুরো মাঠে ১৪ টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই সাথে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইন শৃঙ্খলা বাহীনীর একাধিক টিম কাজ করছে। 

সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য ১৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তৃণমুল থেকে জেলা পর্যায়ে ৫১৫ জনকে কাউন্সিলর মনোনীত করা হয়েছে। তবে দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ রাখা হলেও অন্যান্য জেলাগুলোর মত বগুড়াতেও দলের জেলা কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য দু’জনের নাম কেন্দ্রের পছন্দেই ঘোষণা করা হতে পারে।

বগুড়ায় সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে মমতাজ উদ্দিন এবং মজিবর রহমান মজনুকে পুননির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। তবে সম্মেলনের ২২ মাস পর ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। পরে আরও দু’জনকে কো-অপক্ট করা হয়। অবশ্য সেই কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিনসহ ৮ সদস্য এরই মধ্যে ইন্তেকাল করেছেন। 

বগুড়ায় এবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন নানা কারণে নেতা-কর্মীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব কারণের মধ্যে অন্যতম হলো প্রায় পঁচিশ বছর পর বগুড়ায় দলটির জন্য সভাপতি পদে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সেই ১৯৯৪ সাল থেকে সভাপতি পদে আসীন মমতাজ উদ্দিন চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে ওই পদে নতুন মুখের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আরও যে বিষয়টি লক্ষ্যণীয় সেটি হলো -এতদিন প্রয়াত মমতাজ উদ্দিনের অনুসারীরই জেলা কমিটির সিংহভাগ পদে স্থান পেতেন কিন্তু তার অবর্তমানে কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে তা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বেশ কৌতুহল রয়েছে।

আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য গঠিত ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মন্তেজার রহমান মন্টু জানান, সভাপতি পদে ৮জন এবং সাধারণ সম্পাদক ১২জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে নানা ত্রুটির কারণে উভয় পদে একটি করে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। ফলে সভাপতি পদে এখন ৭জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।

সভাপতি পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, ৪ সহ-সভাপতি যথাক্রমে তোফাজ্জল হোসেন দুলু মাস্টার, টি এম মুসা পেস্তা, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুল ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, জেলা কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তবিবর রহমান তবি ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ শামিম।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- জেলা কমিটির তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে রাগেবুল আহসান আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা ও মঞ্জুরুল আলম মোহন, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেরীন আনোয়ার জর্জিস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম আক্কাস, তিন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়, আসাদুর রহমান দুলু ও শাহরিয়ার আরিফ ওপেল এবং সোনাতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন।