প্রয়াত ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে বগুড়ায় অনির্বাণের আয়োজন

অসীম কুমার কৌশিক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৭১ বার।

‘এখন অনেক রাত.....’ বিখ্যাত এই গানের স্রষ্টা প্রয়াত ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে অনির্বাণ সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া। শনিবার গোধুলী বেলায় শহীদ টিটু মিলনায়তন সংলগ্ন রোমেনা আফাজ মুক্ত মঞ্চে এসএসসি পরীক্ষার্থী সামান্তার কণ্ঠে আইয়ুববাচ্চুর ‘যে চলে গেছে’ গানের মাধ্যমে ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়। গান শেষে সন্ধ্যার পর সংঠনের উপদেষ্টা এবিএম জিয়াউল হক বাবলার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, মানুষের বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক কিন্তু মৃত্যু স্বাভাবিক। বাংলাদেশে ব্যান্ড শিল্পী যতদিন থাকবে ততদিন সকলের হৃদয়ে থাকবে আইয়ুব বাচ্চু। তার সৃষ্টিই তাকে সবার হৃদয়ে ঠাঁই দিয়ে রাখবে। আলোচনা শেষে আরও কয়েকটি গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন শোভা অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আহম্মদ কিরণ।

জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু গত ১৮ অক্টোবর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া গুণী এই শিল্পী ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন। আট থেকে আশি সব বয়সী ভক্ত-শ্রোতারাই তার গানে ডুব দেয়। বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। রেখে গেছেন এমন কিছু কালজয়ী গান, যা বারবার শুনতে হবে।১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডদলের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চু সঙ্গীত জীবনের যাত্রা শুরু করেন। ‘হারানো বিকেলের গল্প’ নামের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন তিনি। পরে ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এক দশক ‘সোলস’ ব্যান্ডের হয়ে গান করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ তার প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। তবে অ্যালবামটিতে তেমন সাফল্য আসেনি। সফলতার শুরু তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত এই অ্যালবাম এই শিল্পীর গোটা জীবনেই একটা মাইলফলক করে। এর পরের ইতিহাস সকলেরই জানা।একে একে সুপারহিট সব গান উপহার দিয়ে গেছেন কিংবদন্তী এই কণ্ঠশিল্পী। ৪০ বছরের দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে তার সুপারহিটের গানের সংখ্যা কত?- প্রশ্নের উত্তর দিতে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে। কেননা হাতেগোনা কয়েকটি বাদে তার গাওয়া প্রায় সব গানই সুপারহিট।
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাধারণ সম্পাদক ডা. সামির হোসেন মিশু, সম্মিলিক সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, বগুড়া পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর টিপু সুলতান ও অনির্বাণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা ফিরোজ আহম্মেদ খান।