অর্থ আত্মসাতের দায়ে

বগুড়ায় পলাতক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ. ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩২৭ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিস্কৃত সভাপতি সুলতান মাহমুদকে (৩৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ধুনট পৌর এলাকার সদরপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে।

সুলতান মাহমুদ অর্থ আত্মসাত মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। তার বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে চাকুরি দেয়ার নামে অন্তত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান মাহমুদ ২০১৫ সালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দু’বছর পর সভাপতি’র পদ লাভ করে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই দখলবাজি, তদবির, নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিশেষ করে পুলিশ কনস্টেবল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারনা করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।  

এছাড়াও সাবেক মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনিক ও বিভিন্ন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে রাজনীতিবিদ, পুলিশ, আইনজীবী, শিক্ষকসহ অসংখ্য পেশার মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সুলতান মাহমুদ নিজেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নাতনী জামাই পরিচয় দেন। টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় সুলতান মাহমুদ রূপালী ব্যাংক ধুনট শাখায় তার সঞ্চয়ী হিসাবের (নং-১৩৬) চেক দিয়েছে। চাকরি দিতে না পারলে এক মাসের মধ্যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু তার ওই ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা। এ ঘটনায় সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে বগুড়ার আদালতে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার ঘটনায় কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।

মামলার পর থেকে আত্মগোপন করে সুলতান মাহমুদ। মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানামুলে গত ২ অক্টোবর পুলিশ তাকে আটক করে। এই ঘটনায় বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক সুলতান মাহমুদকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করে। 

গ্রেপ্তারের দু’দিন পর জামিনে এসে সুলতান মাহমুদ আবারো আত্মগোপন করে। এরপর অর্থ আত্মসাতের মামলায় আদালত তার এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করে।

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুলতান মাহমুদের এক বছরের কারাদন্ড হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত সুলতান নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছিল। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার তাকে থানা থেকে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।