হাসনাহেনা খেলাঘর আসরের সদস্যরা একাত্তরে বাবুরপুকুর ও বেতিয়ারার শহীদদের স্মরণ করলেন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩০৩ বার।

বাবুরপকুর গণহত্যা এবং বেতিয়ারা শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ১১ নভেম্বর বগুড়ার সোনাতলায় হাসনাহেনা খেলাঘর আসরের উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রোববার বিকেলে সভার পূর্বে সংগঠনের সদস্যরা অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা সোনাতলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদী পরিষ্কার করেন। আলোচনার পূর্বে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর সেহেরীর সময় (তখন রমজান মাস ছিল) পাক সেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় শহরের ঠনঠনিয়া এলাকা ঘেরাও কয়েকটি বাড়ি থেকে এক মহিলাসহ ২১ জনকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার বাবুরপুকুর নামে একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে নূরজাহান নামে সেই মহিলাসহ চৌদ্দজনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। পরে পুকুরপাড়েই তাদের কবর দেওয়া হয়।
একই দিনে ৭৮ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাক্সবন্দী অবস্থায় ভারত থেকে বর্ডার অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় কুমিল্লার বেতিয়ারায় পাক হানাদার বাহিনীর সামনে পড়ে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই রাজাকারদের সহযোগিতায় তাঁদের উপর হামলা চালায় পাকবাহিনী। সম্মুখ যুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গেরিলারা। কিন্তু পাক বাহিনীর গুলিতে ৯ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আলোচনা সভায় হাসনাহেনা খেলাঘর আসরের সদস্যরা বাবুরপুকুরে নিহত শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।
হাসনাহেনা খেলাঘর আসরের সভাপতি সিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সংগঠনের সমন্বয়কারী মহসিন আলী তাহা, সোনাতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশারফ হোসেন মজনু, আলোর প্রদীপের চেয়ারম্যান মেহেরুল ইসলাম, হাসনাহেনা খেলাঘর আসরের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শিহাব। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নওশীন জাহান নিহা। আবৃত্তি করেন খেলাঘরের সদস্য জুনাইদ আমিন জারিফ।