বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে: ব্রিটিশ হাই কমিশনার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫১ বার।

ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে ব্রিটেনে ভোটের ফলাফল দেখানোর আয়োজন। খবর যুগান্তর অনলাইন

ব্রিটেনে বরিস জনসনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি বিপুল বিজয়ের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের কোনো হেরফের হবে না। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এমন আভাস দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, ব্রিটেনে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা থাকায় সম্পর্ক একই থাকবে। বাংলাদেশ ও ব্রিটেন সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে।

আজ শুক্রবার ব্রিটেনে ভোটের ফলাফল দেখাতে ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে এক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। সেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশি কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্নস্তরের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বড় পর্দায় ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ নানা আলোচনায় ফলাফল বিশ্লেষণে মুখর ছিলেন।

আড্ডার ফাঁকে রবার্ট ডিকসন যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। এ দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সহযোগিতাও একই থাকবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই একমত যে, বরিস জনসনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টির অবস্থান শক্ত হওয়ায় ব্রেক্সিট এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইইউ থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত। এখন বিচ্ছেদের নতুন সময় নির্ধারণ হবে। আলোচনার মাধ্যমে ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের নতুন ধরণ নির্ধারণ হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করে দেশটিতে বাংলাদেশি ডায়াসপোরা। পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ওই দেশে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশিরা সাধারণত লেবার পার্টির সমথর্ক। ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনে আনন্দ আয়োজনে সবার নজর ছিল বাংলাদেশি ডায়াসপোরার ফলাফলের প্রতি। প্রথমে আসে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিকের জয়ের খবর। লেবার পার্টির এ ভরাডুবির সময়ে টিউলিপসহ চারজনের বিজয়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। রুশনারা আলি, রুপা হক এবং নতুন মুখ আফসানা বেগমও জয়ী হন।

বরিস জনসন আবারও অনেক বেশি আসন পেয়ে বিজয়ী হওয়ায় ব্রিটেনে এখন জনসনের একতরফা কর্তৃত্ব থাকবে। কনজারভেটিভ পার্টিতে থাকা তার বিরোধীরা এখন চুপসে যাবে। এদিকে ব্রেক্সিট না থাকায় ইইউ বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে যে জিরো ট্যারিফ দিচ্ছে, তার জন্যে বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে হবে।