টেকনাফে আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০০ বার।

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের হাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আটক নুর হাফেজ ও সোহেল পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজী পাড়ার পশ্চিম দিকে পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯৫ হাজার ইয়াবা, ৬টি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক, ১৮ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১৩ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করেছে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. আমিন ওরফে নুর হাফেজ (৩২) ও হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার সাব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৭)। এ ঘটনায় পুলিশের ৫ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে র‌্যাব-৭ এর একটি দল ৮ লাখ পিস ইয়াবা, ৬টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ নুর হাফেজ ও মোহাম্মদ সোহেল, সৈয়দ নুর (২৭) ও সৈয়দ আলম প্রকাশ কালুকে (৪৫) আটক করে। আটকের পর র‌্যাব সদস্যরা একই দিন বিকেলে টেকনাফ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এবং সংশ্লিষ্ট আইনে মামলাও করা হয়।

পরে আটক ইয়াবা কারবারিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাহাড়ে আরও ইয়াবা মজুদের কথা স্বীকার করলে রাতে টেকনাফ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ইয়াবা উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে।

পুলিশের দল টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজী পাড়ার পশ্চিমে পাহাড়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অন্যান্য ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ইয়াবা কারবারিদের গুলিতে টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই মিশকাত, সনজীব দত্ত, কনস্টেবল মহিউদ্দিন, সেকান্দর  গুলিবিদ্ধ হয়।

এক পর্যায়ে হামলাকারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ৬টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ, ১৩ কার্তুজের খোসা, ৯৫০০০ পিস ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুর হাফেজ ও সোহেলকে উদ্ধার করা হয়।

প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি জানান, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজারের ফেরারি আসামি রাকিব আহমেদ মেম্বারের সঙ্গে চোরাচালানের সুবাদে নুর হাফিজ ও মো. নুর সহোদর বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আশ্রয় নেয়।

স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারর এবং গ্রুপিং রাজনীতির বলীর পাঠা হয়ে এই নুর হাফিজ সহোদর কাছার পাড়ায় বসতি গড়ে জীবন-যাপন শুরু করে। পরিস্থিতির কারণে রাকিব মেম্বারের সঙ্গে নুর হাফিজদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে ওপারে ঘনিষ্ঠজন থাকায় দুই সহোদরই সীমান্ত চোরাচালান এবং মাদক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হয়ে উঠে।