বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রে জিয়া জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৩ বার।

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই রক্ত ও স্বাধীনতার জন্য এত আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায়নি, যেতে পারে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আজ যে উন্নয়ন, সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিয়েই সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। খবর সমকাল অনলাইন 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে দায়িত্ব দেশের জনগণকেই নিতে হবে। তরুণসমাজ ও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সচেতন থাকতে হবে, যেন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে দেশটা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে- সেভাবেই এগিয়ে যায়। বাংলাদেশ যেন তার মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আবারও দায়ী করে তিনি বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্টের খুন ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। তিনি যদি জড়িত না-ই থাকবেন, তাহলে খুনি খন্দকার মোস্তাক তাকেই কেন সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন?

শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃত করে এদেশকে আবারও পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সত্যকে কেউ কখনো চাপা দিতে পারে না, পারবেও না। আজ সেটা প্রমাণ হয়েছে সারাবিশ্ব ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে। আজকের প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পেয়েছে। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও কেউ এটা মুছে ফেলতে পারবে না।

বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার এদেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দিনের পর দিনের এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। 'মানুষ নয়, মাটি চাই'- এই নীতি নিয়ে তারা এদেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারে, আর জিততে পারবে না- তখনই বাংলাদেশ যেন আর ভবিষ্যতে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্যই এদেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও সাংবাদিকসহ বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তারা শেষ আঘাতটা এখানেই দিয়েছিল।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ, আওযামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।