বগুড়ায় বিরল রোগে আক্রান্ত মা-মেয়ে, সকলের সাহায্য প্রার্থী

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮২২১২ বার।

দিনে ২-৩ বার চোখ, কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে গৃহবধূ কলেজ ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ঝুমুর ও তার ৩ মাস বয়সী শিশু কন্যা মারিয়া’র। স্থানীয় চিকিৎসকরা অপারগতা প্রকাশ করায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেয়া হয় তাদের। কিন্তু সেখানেও উপযুক্ত চিকিৎসা মেলেনি। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন বিদেশে নিতে।

এমন বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বগুড়া সদরের ছোট বেলাইল গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকা গাড়ী চালক মজনু মিয়ার স্ত্রী ঝুমুর ও তার শিশু কন্যা মারিয়া। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা চান স্বামী মজনু মিয়া।  

হতদরিদ্র মজনু মিয়া জানিয়েছেন, তার জন্মস্থান কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সরকারটারী গ্রাম। তার পেশা রেণ্ট-এ-কার গাড়ী চালক। এ পেশা থেকে তার মাসিক আয় ৮-১০ হাজার টাকা। এ স্বল্প আয়ে তিনি স্ত্রী ও ২ শিশু কন্যাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে জীবন যাপন করছেন। সেই সাথে স্বল্প আয় দিয়েই স্ত্রী ঝুমুরকে রাণীরহাট কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। গত ৩ মাস আগে সিজারের মাধ্যমে তার স্ত্রী দ্বিতীয় বারের মতো কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। একমাস পরে এক সকালে হঠাৎ ঝুমুরের জ্বর আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় তার চোখ দিয়ে প্রথম রক্ত ঝরে। বাম পা অবশ হয়ে যায়। চিকিৎসায় পা সচল হলেও রক্ত থামেনি রক্ত ঝরা। বরং তার চোখ, নাক ও কান দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ বার রক্ত ঝরা শুরু হয়। তাকে নেয়া হয় বগুড়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর তাকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু কোন উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন।

অপরদিকে মা ঝুমুরের সঠিক রোগ নির্ণয় হতে না হতেই গত ২ সপ্তাহ যাবত শিশু কন্যা মারিয়ার নাক ও কান দিয়ে রক্ত ঝরা শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন রেণ্ট-এ-কার চালক হতদরিদ্র মজনু মিয়া। তরতাজা দু’টি প্রাণ বাঁচাতে তিনি দিকবিদিক ছোটাছুটি করছেন। সহায় সম্বল যা ছিল নি:শেষ হয়েছে। এখন তিনি সমাজের দানশীল সহৃদয় মানুষের মুখপানে চেয়ে আছেন।

সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা ডাচ-বাংলা ব্যাংক বগুড়া শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ৭০১৭৫১৯৫৫৬৪৫৮।