সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে গুদামে ধান দেওয়ার চেষ্টা

কাহালুতে আ’লীগ নেতাসহ ৩জনের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৩ বার।

কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি কার্ড কিনে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির চেষ্টাকালে বগুড়ার কাহালুতে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। বুধবার সকালে কাহালু উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। 
দণ্ডিতরা হলেন- আওয়ামী লীগের কাহালু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সাকোহালি গ্রামের মনতাজুর রহমানের ছেলে সামসুদ্দোহা খান (৪৫), লক্ষীপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪০) ও দলগাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র রবিউল ইসলাম (৩০)। কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাছুদুর রহমান প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সরকারের ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী কাহালু উপজেলায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য লটারির মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ কৃষক নির্বাচন করা হয়। ২৬ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহের কার্যক্রম সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়। তবে গত মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে অভিযান শুরু হয়।
তবে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও চালকল ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় কৃষকের পরিবর্তে নিজেরা খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করার পরিকল্পনা করে। এজন্য তারা কৃষকদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দামে কৃষিকার্ড কিনে নেয়।
বগুড়ার কাহালু থানার সাব ইন্সপেক্টর ডেভিড হিমাদ্রি বর্মা জানান, বুধবার সকালে অভিযোগ পাওয়া যায় যে, কতিপয় ব্যক্তি কৃষকদের পরিবর্তে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেরাই খাদ্র গুদামে ধান দিচ্ছে। খবর পেয়ে কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমানও ঘটনাস্থলে আসেন। তারপর উল্লেখিত ৩ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেওয়া হয় এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুদুর রহমান আগামীতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে বলেন, ‘কোনো ফড়িয়া, ব্যবসায়ী আর প্রভাবশালী যেই হোক প্রকৃত কৃষকের ধান তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’