ফেঁসে গেছে আওয়ামী লীগ: রিজভী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৪ বার।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজাকারের তালিকায় আওয়ামী লীগের চেহারা ফাঁস হওয়ায় স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরস্পরের ওপর দায় চাপাচ্ছে। অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে এবার আওয়ামী লীগ নিজেরাই ফেঁসে গেছে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতা-কর্মী। এতে জনগণ বিস্মিত নয়। কারণ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। খবর সমকাল অনলাইন 

তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের থলের বেড়াল বের হতে শুরু হওয়ায় তা প্রত্যাহারের প্রশ্ন উঠেছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আওয়ামী লীগের চেহারা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তারা এখন নিজেরাই কুতর্কে লিপ্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দোষ আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার মূল চেতনার বিরোধী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে-গণতন্ত্র-সাম্য-মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায় বিচার। এর কোনটিই তাদের ঐতিহ্যে নেই।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এক মাসের বেশি সময় পরে গত ১৬ ডিসেম্বর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে তার স্বজনদের দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। দেশনেত্রী হাঁটাচলা করতে পারেন না, খেতে পারছেন না, হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে এবং এতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। জয়েন্টগুলো শক্ত ও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, তীব্র অসুস্থতায় কাতরালেও বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখতে ডাক্তার আসেন না। ডাক্তার ঠিকমত ওষুধ দিচ্ছেন না। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শামীম এবং ডা. মামুনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। বাস্তবে তার কোনও চিকিৎসাই হচ্ছে না এবং ওষুধও দেওয়া হচ্ছে না। তার অবিলম্বে সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিও জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।