খালেদা জিয়া ‘মেডিকেল টেররিজমের’ শিকার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৩ বার।

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মেডিকেল-সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক ধরনের ‘মেডিকেল টেররিজম’ কায়েম করেছে সরকারের নির্দেশে বিএসএমএমইউ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) কর্তৃপক্ষ।

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, দখলদার আওয়ামী সরকার শুধু প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর দেশনেত্রী খালেদা জিয়েকে কারারুদ্ধ রেখে বিনা চিকিৎসায় হত্যার চক্রান্ত করছে। গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর কি চিকিৎসা হচ্ছে, এটি কেউ কিছুই জানতে পারছে না। একে তো সরকারের পূর্বের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত বদলে সরকারি দলের সমর্থক ডাক্তারদের দিয়ে তৈরি করে বানোয়াট রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে। তার ওপর বেগম জিয়ার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শামীম ও ডা. মামুনকে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার জীবনকে বিপন্ন করার কলাকৌশল হচ্ছে কিনা এ জন্য জনগণ উদ্বিগ্ন।

বিএনপিকে সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে দলের এই নেতা বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গুম, খুন, হত্যা এবং অসংখ্য মামলায় জর্জরিত করে প্রচণ্ড বৈরী ও প্রতিকূল অবস্থায় ঠেলে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। বিএনপির প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সহিংস কায়দায় বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা ও আজগুবে মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। দেশের জেলা উপজেলায় আমাদের কাউন্সিল করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। গণতান্ত্রিকভাবে মিছিল সমাবেশ করলে গুলি, টিয়ারশেল, লাঠিপেটা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো ঢাকা শহরের অনেক সড়কে যান চলাচল বাধা দিয়ে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে দিনের পর দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা-সমাবেশ করছে। নিজেদের দলে কথিত গনতন্ত্র চর্চার নামে বিরোধী দল ও প্রতিপক্ষের গণতন্ত্রকে টুটি চেপে হত্যা করা হচ্ছে।