বগুড়ায় ভ্যানচালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:১৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪২ বার।

বগুড়ার শেরপুরে এক ভ্যান চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম মো. আব্দুল মান্নান টগর (৫৮)। তিনি উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের কেল্লা (হরিখা পুকুরপাড়) গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে। সোমবার দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে অবস্থিত মাঠের একটি আলু ক্ষেত থেকে ওই ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশটি বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।


পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, ভ্যান চালক আব্দুল মান্নান টগর গত রোববার বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাঁকে খোঁজাখুঁজিও করেন। একপর্যায়ে গ্রামের একটি আলু ক্ষেতের মধ্যে ওই ভ্যান চালকের লাশটি পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন এলাকাবাসী। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।


শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসরোধ করে ওই ভ্যান চালককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নিহতের একটি চোখ উপড়ানো এবং গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। হয়তো দুর্বৃত্তরা তাকে অন্য জায়গায় হত্যার পর এখানে এনে আলু ক্ষেতের মধ্যে তার লাশ ফেলে রেখে যায়।

তবে পুলিশের আরেকটি সূত্র জানান, নিহত ভ্যান চালক আব্দুল মান্নান ও তার বন্ধু আফজাল হোসেন চলতি রবি মৌসুমে বার্ষিক পত্তনী নিয়ে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। আর এই সূত্রধরে মান্নানের বাড়িতে যাওয়া-আসার স্থলে তার স্ত্রীর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেন বন্ধু আফজাল। একপর্যায়ে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়লে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কে টানা পড়েন সৃষ্টি হয়। এমনকি বিষয়টি নিয়ে গত রোববার সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে। এছাড়া যৌথভাবে চাষ করা ওই জমি থেকে উৎপাদিত মরিচ বিক্রির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বও রয়েছে। টাকার ভাগাভাগি ও পরকিয়ার কারণে ভ্যান চালক মান্নান খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে সূত্রটির ধারণা।


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, একাধিক বিষয়কে সামনে রেখেই তদন্ত কাজ চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই ভ্যান চালক নিহত হওয়ার রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। উক্ত ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।