নুরের ওপর হামলাকারীদের ফুটেজ দেখে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৯ বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলাকারীদের সিসিটিভির (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডাকসুতে হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের খোঁজা হবে। হামলাকারী কেউ পার পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ডাকসুতে হামলার ঘটনায় যারা প্রকৃত অন্যায় কাজটি করেছে, তাদের ধরা হবে। চেষ্টা অব্যাহত আছে। ভিডিও ফুটেজ আসুক খতিয়ে দেখা হবে। আপনারা জানতে পারবেন।

উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

এ হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিপি নুর। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

এ ছাড়া নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতা আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদী হাসান শান্তকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, শেরেবাংলা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুর রহমানসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।