‘আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের ধারকবাহক’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৩ বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামির পক্ষে সাফাই গেয়ে আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, ‘আসামিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। সেখানে সিসিটিভির ফুটেজ আছে, পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তারা জড়িত কিনা। আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের ধারকবাহক।’

মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সাগর মিয়া এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও দফতর সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্তের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সাগর মিয়া।

তিনি বলেন, ‘আসামিরা ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে কাজ করে যাবে। কিছু কুচক্রী মহলের সেটি সহ্য হয়নি। এ জন্য তাদের ফাঁসিয়ে মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। আসামিদের রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করছি।’

শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আবেদন খারিজ করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

 

এ হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিপি নুর। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

এ ছাড়া নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতা আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদী হাসান শান্তকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।