সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন

বোতলজাত পানির অর্ধেকই মানহীন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৫ বার।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদনহীন এবং নিম্নমানের ড্রিংকিং বা মিনারেল পানি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল ও কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সুপারিশ করা হয়।

এর আগে কমিটির তৃতীয় বৈঠকের চতুর্থ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিনারেল বা ড্রিংকিং পানি বোতলজাত বা উৎপাদনকারী কারখানাগুলো সঠিকভাবে বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে কি না, তা সরেজমিন পরিদর্শন করতে সুপারিশ করা হয়েছিল।

কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য এ কে এম ফজলুল হক, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও পারভীন হক সিকদার।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রতিবেদন দেখে কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ সময় কমিটির পক্ষ থেকে ভুয়া কারখানাগুলো বন্ধ করা ও এর মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বাজারে পানি সরবরাহ করছে সেগুলোর মান নিয়মিত পরীক্ষা করার জন্যও বলা হয়’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বর্তমানে সারা দেশে মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান খাবার পানি উৎপাদন করে। এর মধ্যে মাত্র ৪১টি কোম্পানি সুপেয় পানি উৎপাদনে সক্ষমতা রয়েছে। এদের লাইসেন্সও রয়েছে। মানহীন বাকি ৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি থাকলেও তারা পরিপূর্ণ মান নিয়ন্ত্রণ করে না। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিএসটিআই’।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তৃতীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএসটিআই সার্ভিলেন্স টিম গঠনের মাধ্যমে ৪৩টি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ৩৬টির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাকি ৪টি কারখানার যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকগুলো কারখানার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।