শীতে পানি পান কমিয়ে দিলেই বিপদ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২০ বার।

গরমে অতি তৃষ্ণায় পানি পান বেড়ে যায়। উত্তপ্ত আবহাওয়ার কারণে ঘনঘন পান করে থাকি আমরা। তাই বলে শীতকালে পানি পান করা কমিয়ে দেয়া যাবে না। শীতে পানি পান করতে হবে অধিক গুরুত্বের সঙ্গে।

শীতকালে গরম চা-কফি পানের পরিমাণ বেড়ে গেলেও আমরা পানি পানের কথা ভুলে যাই। পানি মুখে দিতেই নাক-মুখ কুঁচকে ফেলি। পানি পান কমিয়ে দিলে কিন্তু শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। ডিহাইড্রেশন, বদ হজম, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে শরীর।

কম পানি করায় এ সময় শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। পানি শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে এবং শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডার সময় প্রয়োজনে পানি কুসুম গরম করে পান করুন। কিন্তু পানি পান করা কমিয়ে দেওয়া যাবে না।

পানি আমাদের শরীর শুধু সতেজ রাখে, ত্বক ভালো রাখে। নানা অসুখ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে পানি, যেমন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। পর্যাপ্ত পানি পানে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, মাথা ব্যথা সেরে যায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমায়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পানি পান কমিয়ে দিলে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হবে ফলে মস্তিষ্ক ও শরীরে শক্তির মাত্রা হ্রাস পায়। মাথাব্যথার একটি বড় কারণ পানি পান না করা। পানির অভাবে এমনকি হতাশা বা ক্রনিক ফেটিগ সিনড্রোম দেখা দিতেও পারে।

 শ্বাসকষ্টে পান করলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। কারণ ফুসফুসকে আর্দ্র করে শ্বাস নিতে সাহায্য করে পানি।

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার একটি বড় কারণ পানি পান না করা। বেশি পানি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে। হজমের জন্যও পানি খুব জরুরি। গ্যাস্ট্রাইসিস, বুক জ্বালা অনেকটা কমে যায় নিয়মিত পানি খেলে।

পানির সাহায্য নিয়ে কিডনি মানুষের শরীরের বর্জ্য পদার্থ ইউরিক অ্যাসিড, ইউরিয়া ও প্লাস্টিক অ্যাসিড বের করে দেয়। এসব পদার্থ কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ফলে শীতে কোনোভাবেই পানি পান করা কমিয়ে দেয়া যাবে না। একজন মানুষের দিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত সেটির নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ নেই। তবে সাধারণ অবস্থায় একজন পুরুষের দৈনিক তিন লিটার বা ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন আর নারীর জন্য দুই লিটার বা আট থেকে ১০ গ্লাস। এ ছাড়া গর্ভকালীন অবস্থায় বেশি পানি পান করতে হবে।