সৌম্যর তাণ্ডবেও হার এড়াতে পারল না কুমিল্লা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৮ বার।

হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে তাণ্ডব চালালেন সৌম্য সরকার। তবু হার এড়াতে পারল না তারা। বরেন্দ্রভূমির দলটির কাছে ১৫ রানে হেরেছে কুমিল্লা।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। ফরহাদ রেজার বলে ফেরেন রবিউল ইসলাম। ওয়ানডাউনে নেমে দ্রুত আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন ডেভিড মালান। পরে স্টিয়ান ভ্যান জেলকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। সফলও হন তারা।

দুর্দান্ত খেলতে থাকেন জেল-সৌম্য। বড় জুটি গড়ে দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথে রাখার চেষ্টা করেন তারা। তবে হঠাৎ থেমে যান জেল। শোয়েব মালিকের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ২১ রানে ফেরেন তিনি।

তার বিদায়ের পর সাব্বির রহমানকে নিয়ে খেলা ধরার প্রচেষ্টা চালান সৌম্য। ততক্ষণে ব্যবধান বেড়ে যায় বহুগুণ। পরে তা পূরণ করতে পারেননি তারা। সময়ের দাবি মেটাতে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে মোহাম্মদ ইরফানের বলে ফিনিশ হন সাব্বির। প্যাভিলিয়নে ফেরত আসার আগে ২৩ রান করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের তৃতীয় পর্বের ম্যাচে শনিবার দুপুরে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স অধিনায়ক ডেভিড মালান। ফলে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী রয়্যালস।

দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও লিটন দাস। দলীয় ৫৬ রানে ব্যক্তিগত ২৪ করে লিটন ফিরলেও থেকে যান আফিফ। তার তাণ্ডব চলতেই থাকে। ধীরে ধীরে ফিফটির পথে এগিয়ে যান তিনি। তবে এ থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে সৌম্য সরকারের বলে প্লেড অন হয়ে থামেন আফিফ। ফেরার আগে ৩০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি।

পরে রবি বোপারাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। তবে তাতে বাদ সাধেন মুজিব-উর রহমান। জাদুকরী গুগলিতে বোপারাকে বোল্ড করে ফেরান তিনি।

তাতে সাময়িক চাপে পড়ে রাজশাহী। সেখান থেকে আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে খেলা ধরেন শোয়েব। একপর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। স্বভাবতই কুমিল্লার বোলারদের ওপর তোপ দাগাতে শুরু করেন তারা। ফলে দ্রুতগতিতে ঘুরে উত্তরবঙ্গের দলটির রানের চাকা।

পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন শোয়েব। এবারের আসরে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। একই পথে এগিয়ে যান রাসেল। তবে সময় স্বলতার কারণে তা করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে রাজশাহী।

৩৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে শেষ বলে রানআউটে কাটা পড়েন শোয়েব। আর ২১ বলে ৪ ছক্কায় ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাসেল।