‘আশা নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলাম, কিন্তু...’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:০৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৫ বার।

অত্যন্ত আশা নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিন্তু গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হতে পারিনি।

শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশা নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলাম। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সংগ্রাম জয় করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পারতে হবে, আমাদের আরও বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করতে হবে। শুধু ঐক্যফ্রন্ট এবং অন্যান্য কোনো জোট নয়, দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’

বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সংকট সমাধান জনগণের অভ্যুত্থান বা জনগণের আন্দোলন ছাড়া কখনোই সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতার মূল চেতনাকে গড়ে তোলার জন্য। সেই লড়াইয়ে জাসদ এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের ঠিক একই কথা স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এসেও আমাদের বলতে হচ্ছে যে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের গণতান্ত্রিক মুক্তি আসবে, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা আর সেই স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ। সেদিন তারা সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছিল। এখন আবার তারা ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন মুখোশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার (একাংশ) সভাপতি নুরুল আমীন বেপারী, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।