বগুড়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে চাচাতো ভাই খুন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৬৭ বার।

বগুড়ার শাজাহানপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শনিবার বিকেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হামলায় আলমগীর হোসেনের দুই ভাই মনিরুজ্জামান লিমন ও শাহিনুর রহমানও আহত হয়েছেন। তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত আলমগীর হোসেন রাজারামপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তাকে হত্যার জন্য চাচাতো ভাই শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলকার নাইনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহিনুর রহমান জানান, জমিজমা নিয়ে তাদের সঙ্গে তার চাচা হেলাল উদ্দিনের বিরোধ রয়েছে। শনিবার তার ছোট ভাই আলমগীর হোসেন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের একটি জমিতে নির্মাণ কাজ তদারক করছিলেন। এ সময় আমাদের চাচাতো ভাই শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলকার নাইন কয়েকটি মোটর সাইকেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে সেখানে যায় এবং নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। এ সময় আলমগীর প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা আলমগীরের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকে রড দিয়ে পেটায় এবং আমার আরেক ছোট ভাই মনিরুজ্জামান লিমনকে ছুরিকাঘাত করে।

পুলিশ জানায়, আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে বিকেল ৪টার দিকে আলমগীর হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত অপর দুই ভাই বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। খবর পেয়ে রাতে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি নিহত আলমগীরের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা জানান এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’ হত্যাকাণ্ডে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নাইনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’