পুলিশের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কার গলা টিপে ধরার অভিযোগ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮০ বার।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুধু হেনস্থাই নয়, পুলিশ প্রিয়াঙ্কার গলা টিপে ধরেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্মকর্তা আর এস দারাপুরির বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় শনিবার লখনৌয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তার অভিযোগ, দলীয় সমর্থকদের নিয়ে দারাপুরির বাড়িতে যাওয়ার সময় তার গাড়িবহর আটকায় পুলিশ। এরপরই নারী পুলিশকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে হেনস্থা করে।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, নারী পুলিশ সদস্যরা আমাকে ঘিরে রাখে এবং তাদের মধ্যে একজন আমার গলা টিপে ধরে। আরেক নারী পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিলে আমি পড়ে যাই। পরে এক নারী কর্মকর্তা ঘাড় ধরে আমাকে টেনে তোলেন।'

এ ঘটনার পর এক সমর্থকের স্কুটারে চেপে ফের দারাপুরির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর পুনরায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তিনি। পরে হেঁটে যান দারাপুরির বাড়িতে।

রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদেই পুলিশ তাকে এমন হেনস্থা করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

এ বিষয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, 'যদি পুলিশ তাদের গাড়ি নিয়ে আমাদের গাড়ির পথ আটকায়, আমাকে যদি হেঁটে যেতে না দেওয়া হয়, আমাকে ঘিরে ধরা, ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া, গলা টিপে ধরা, ঘাড় ধরে টেনে তোলা- এসব তাহলে কেন, কী কারণে? সরকার ও প্রশাসনের মদদ আছে বলেই এমনটা ঘটেছে।'

তবে এসব করে তাকে বিরত রাখা যাবে না জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'পুলিশের দমননীতির শিকার- এমন প্রতিটি নাগরিকের পাশে আমি থাকবো। এটাই আমার সত্যাগ্রহ।'

অবশ্য প্রিয়াঙ্কাকে হেনস্থা করার বা তাকে ধাক্কা দেওয়ার ও গলা টিপে ধরার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তা অর্চনা সিংহ বলেন, 'বেশ কয়েকটি বিষয় (যেমন হেনস্থা করা, ঘাড় ধরে টেনে তোলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নিষ্ঠার সঙ্গে আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।'

তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, 'আমি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গন্তব্যস্থলের কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম এবং সেটা নিরাপত্তার কারণেই। কিন্তু তার দলের কর্মীরা এই তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।'