বাম জোটের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, সাকিসহ আহত ২০

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৭ বার।

একাদশ নির্বাচনের বার্ষিকীতে সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করে পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। খবর যুগান্তর অনলাইন 

এ সময় পুলিশের হামলায় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম জোটের কালো পতাকা মিছিলে এ হামলা হয়।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকী আজ। এদিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন বাম জোটের নেতারা।

মিছিলটি কদম ফোয়ারার সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের দেয়া ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান নেতাকর্মীরা। বেলা ১টার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে আবারও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বাম জোটের নেতাকর্মীরা। তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

একপর্যায়ে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারার অভিযোগ তুলে পুলিশ সদস্যরা নেতাকর্মীদের ওপর শুরু করে লাঠিচার্জ। তাদের মারধর করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় মৎস্য ভবন মোড় থেকে প্রেসক্লাবের দিকে যান চলাচল প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সিপিবি নেতা ক্বাফী রতন এ বিষয়ে বলেন, পুলিশের হামলায় জোটের নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন গণংসহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমার মাথা ফেটে গেছে। অনেকে আহত হয়েছেন।

লাঠিচার্জের অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপি রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমরা তাদের (বাম জোটের নেতাদের) অনুরোধ করেছিলাম যেন সহিংসতা না করে, ব্যারিকেড না ভাঙে। কিন্তু বাম জোটের নেতাকর্মীরা কথা শোনেননি। তারা প্ল্যাকার্ডের সঙ্গে থাকা লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। তিনি বলেন, পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। পরে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।

এর আগে সকালে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাম গণতান্ত্রিক জোটের নতুন সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু সমাবেশে অংশ নেন।

এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট।