বিজেপিকে একঘরে করার ডাক

কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, বাকিরা কি ললিপপ খাবে? প্রশ্ন মমতার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৪ বার।

যারা অন্য মানুষকে ভারত থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করছে, সেই বিজেপিকে একঘরে করে দেওয়ার ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও  জাতীয় নাগরিক পাঞ্জি (এনআরসি) এর প্রতিবাদে এক মহামিছিল থেকে এই ডাক দেন মমতা। 

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় একটি মহামিছিলে অংশ নেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে দেশের বৈধ নাগরিকদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও তোলেন মমতা। 

জাতীয় নাগরিক পাঞ্জি (এনআরসি) এর বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, 'আজকে এনআরসির নামে সব লোকেদের ভারত থেকে বিতাড়ণ করবার একটা জঘন্য চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমি আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে, মা-বোন, কৃষক-শ্রমিক, আদিবাসী, হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিষ্টান সমাজ সকলকে বলবো আপনারা জোট বাঁধুন, তৈরি হন। বিজেপিকে একঘরে করে দিন। ভারতের বুকে যারা অন্য মানুষকে তাড়াতে চায়, তাদের কোনো জায়গা ভারতে নেই, এটা মাথায় রাখতে হবে।'

 

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর অভিযোগ সিএএ, এনআরসি নিয়ে যারাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে বিজেপি তাদেরকে অপরাধী আখ্যায়িত করছে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'কয়েকদিন আগে উত্তর প্রদেশে কয়েকজন নিহত জয়েছে এবং কর্নাটকে প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন নিহতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্য প্রদান করা হবে। কিন্তু পরে হঠাৎ বলা হলো, তাদেরকে অর্থ সাহায্য করা হবে না কারণ তারা ক্রিমিনাল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।' 

মমতা বলেন, 'আমাদের দেশে ১৩০ কোটি নাগরিক আছে। কাওকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, বাকিরা কি ললিপপ খাবে? আমরা সবাই নাগরিক। দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও যদি আমাদের প্রমাণ দিতে হয় যে, আমরা নাগরিক কি না, তবে এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না।' 

এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এর সমর্থনে সোমবার টুইটারের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার দাবি ক্যা'এর ফলে কোন মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না বরং দেওয়া হবে। 

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট এবং নরেন্দ্র মোদী মোবাইল অ্যাপ টুইটার হ্যান্ডেলে বলা হয় 'ভারত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (ক্যা) কে সমর্থন জানাচ্ছে। কারণ সিএএ (ক্যা) নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে। এটা কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না।'