বগুড়ায় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাঃ রাতারাতি তৈরি নিয়ম বহির্ভূত বিদ্যালয় কালো তালিকাভুক্ত করার আহবান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারী ২০২০ ১২:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭২৪ বার।

এমপিওর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিয়ম না মেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য রাতারাতি তৈরি হওয়া বিদ্যালয়গুলো কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বগুড়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় শিক্ষক/কর্মচারী পরিষদ। শনিবার ওই সংগঠনের জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের পৌর পার্কে আয়োজিত এক জরুরী সভায় এই আহবান জানানো হয়। সেই সাথে ওই জরুরী সভায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।     

সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি মহাস্থান প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাবতলীর করিমপাড়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহসিনা আক্তার, শাজাহানপুর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম, বগুড়া সদরের এসটিআর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন, সারিয়াকান্দি সজিব ওয়াজেদ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসমিনা আক্তার পলি, সদরের ধলমোহনী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, গাবতলী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলালী বেগম, দুপঁচাচিয়া নবজাগরন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, দুপঁচাচিয়া সোভা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের আনোয়ারুল আজাদ, নন্দীগ্রাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের মোফাজ্জল হোসেন, ধুনট মাঝবাড়ী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ওবায়দুর রহমান, শিবগঞ্জের কেশরীপুর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন, সোনাতলা আব্দুল মান্নান অটিজম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মাহবুর রহমান, কাহালু স্বরন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শারমিন আক্তার এবং সদরের রিজন বিদ্যালয় আসিফ আশরাফ।

সভায় দীর্ঘ দশ বছর পর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্বীকৃতি/এমপিওর জন্য সরকার আবেদন আহ্বান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়াও এমপিওর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নীতিমালা না মেনে আর্থিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন এলাকায় রাতারাতি কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে প্রতিবন্ধী শিশুদের নানা প্রলোভন দিয়ে পূর্বে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় থেকে ছাত্র নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে সভায় এ বিষয় সরকারের সংশ্লিস্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।