‘ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করায় সোলাইমানিকে হত্যা’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০২০ ১৪:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৭ বার।

জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে বায়তুল মুকাদ্দাসের শহীদ আখ্যায়িত করে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, জেনারেল সোলাইমানি আজীবন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে গেছেন।

ফিলিস্তিনকে সাহায্যের কারণেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার তেহরানে জেনারেল সোলাইমানি এবং কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসসহ নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জেনারেল সোলাইমানির জানাজায় অংশ নিতে ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।

জানাজাপূর্ব বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছি, অন্তরের ভালবাসা থেকে শহীদ সোলাইমানিকে স্মরণ করতে যার সাহায্য ও সহযোগিতা ফিলিস্তিন রক্ষার সংগ্রামকে আরো গতি দিয়েছে।

আমরা কখনো পেছনে ফিরে যাবোনা, এই শাহাদাত কুদস এবং ফিলিস্তিন স্বাধীন করতে আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এগিয়ে যাবো।

হানিয়া আরও বলেন, শহীদ সোলাইমানি তার পুরো জীবন ফিলিস্তিনকে রক্ষায় সময় দিয়েছেন। আমি ঘোষণা দিতে চাই শহীদ সোলাইমানি ‘কুদসের একজন শহীদ, কুদসের একজন শহীদ’।

গাজায় এবং লেবাননের সংগ্রামে যে বিজয় তিনি নিয়ে এসেছেন আল্লাহর সহায়তায় সে বিজয় অব্যাহত থাকবে।

হামাস নেতা আরও বলেন, ইসলামি প্রতিরোধের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া হবে।

এদিকে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাজার হাজার বাসিন্দা।

প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামিক জিহাদের প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে। শহরের মূলকেন্দ্রে সোলাইমানির সমর্থনে একটি তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে শত শত শোকগ্রস্ত লোককে জমায়েত হতে দেখা গেছে।

তাঁবুতে ঢোকার সময় দর্শনার্থীরা যাতে মাড়াতে পারেন, সেজন্য সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পতাকা বিছিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সেই পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেন তারা।

শুক্রবারে মার্কিন অভিযানে সমর্থন জানিয়েছে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। ইহুদি রাষ্ট্রটিকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলতে ইসলামিক জিহাদ ও হামাসকে বহু আগ থেকেই সহায়তা করে আসছে ইরান।

কাজেই সোলাইমানিকে হত্যা ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় ক্ষতি বলে আখ্যায়িত করেছেন ইসমাইল রাদওয়ান।